× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দৃশ্যমান হচ্ছে রোয়াংছড়ি-রুমা সড়ক

বাংলারজমিন

বান্দরবান প্রতিনিধি
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বুধবার

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে বান্দরবানে দৃশ্যমান হচ্ছে রোয়াংছড়ি -রুমা সড়ক। ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে রুমা উপজেলা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে সড়কটির ২০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সড়কটি নির্মিত হলে জেলা সদর থেকে রুমা ও রোয়াংছড়ির দূরত্ব কমে যাবে অনেকগুণ। এছাড়াও রোয়াংছড়ি থেকে অভ্যন্তরীণ সড়ক হওয়ায় দুই উপজেলার বাসিন্দাদের অর্থনৈতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে কৃষিজ পণ্য পরিবহনে ব্যাপক সাফল্য আসবে। জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে রোয়াংছড়ি-রুমা সড়কের নির্মাণ কাজটির ভিক্তি প্রস্তর স্থাপন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। ইতিমধ্যে সড়কটির ২০ শতাংশ কাজ সমাপ্ত হয়েছে বলে জানান পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবানের প্রকল্প পরিচালক (পিডি)। সম্প্রতি নির্মাণ কাজটি পরিদর্শন করেছেন পরিকল্পনা কমিশনের যুগ্ম প্রধান সাইদুজ্জামান, পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোখলেছুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
৪৮ কোটি টাকার প্যাকেজ প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত কাজটির অধীনে রয়েছে মাটিকেটে রাস্তা নির্মাণ, ড্রেন নির্মাণ, কালভার্ট, রাস্তার কার্পেটিং। সড়কটি নির্মিত হলে রোয়াংছড়ি থেকে রুমার দূরত্ব কমে যাবে অনেকটা। অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হলে কৃষি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে দুই উপজেলার বাসিন্দাদের। রোয়াংছড়ি এলাকার বাসিন্দা থোয়াইনু অং মার্মা বলেন, রোয়াংছড়ি রুমা সড়কটি নির্মিত হলে দুই উপজেলার বাসিন্দাদের মধ্যে অর্থনৈতিক যোগাযো্‌গ বৃদ্ধি পাবে এবং আশেপাশের অনাবাদী জমি চাষাবাদের আওতায় আসবে কৃষি ক্ষেত্রে অগ্রগতি হবে। পণ্য পরিবহন সহজ হবে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাবে। রুমা পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উহ্লা মং মারমা জানান আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি অবশেষে পূরণ হতে যাচ্ছে। রোয়াংছড়ি-রুমা সড়কটি আগে রুমা হয়ে বান্দরবান সদরে সড়ক পথে যেতে সময় লাগতো দু-থেকে আড়াই। কিন্তু রোয়াংছড়ি-রুমা সড়ক পুরোপুরি হয়ে গেলে রুমা থেকে রোয়াংছড়ি দিয়ে বান্দরবান সদরে যেতে সময় লাগবে ১ থেকে দেড় ঘণ্টা। এতে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হবে এবং দুই উপজেলার বাসিন্দাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ সহজ হবে।  
পাবত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আবদুল আজিজ জানান, ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ রোয়াংছড়ি -রুমা অভ্যন্তরীণ সড়কটির নির্মাণ কাজটি এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে ২০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে ২০২১- ২২ অর্থবছরে কাজটি সমাপ্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এবং পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি আন্তরিক প্রচেষ্টায় আজ পাহাড় সমতল সবখানেই চলছে সরকারের নানামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং রোয়াংছড়ি ুরুমা সড়কটির কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে আগামীতে এ দুই উপজেলায় অর্থনৈতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে কৃষিজ পণ্য পরিবহনে ব্যাপক সাফল্য আসবে ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর