× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সাভারে পোশাক শ্রমিককে গণধর্ষণ

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বুধবার

সাভারের আশুলিয়ায় প্রেমিকের সহায়তায় গণধর্ষণের অভিযোগে দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এঘটানায় পলাতক রয়েছে ওই শ্রমিকের প্রেমিক সামিউল ইসলাম। ভুক্তভোগী ওই নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল সকালে ভুক্তভোগী ওই তরুণী বাদী হয়ে প্রেমিক সামিউল ইসলামসহ তিন জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় সরকার (২৫) ও আরিফ হোসেন (২৯) নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, একসঙ্গে চাকরির সুবাদে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার হামিম গ্রুপ নামক পোশাক কারখানার এক নারী শ্রমিকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে অপর শ্রমিক সামিউল ইসলাম মৃধা।
 গত ২৩শে ফেব্রুয়ারি রাত ৮ টার দিকে ভুক্তভোগী নারী শ্রমিক (১৯) নরসিংহপুর এলাকায় বান্ধবীর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে প্রেমিক সামিউলের সঙ্গে দেখা হয়। এসময় সামিউল ওই নারী শ্রমিককে বাসায় পৌছে দেয়ার কথা বলে কৌশলে তার বন্ধু আরিফ হোসেনের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষের ভেতর বসতে বলেই ঘরের দরজা আটকে দেয় সামিউল।
পরে আগে থেকেই ওই কক্ষে অবস্থানকারি প্রেমিক সামিউলের বন্ধু আরিফ হোসেন, রানা সরকার মিলে ওই নারী শ্রমিককে ধর্ষণ করে। এসময় ধর্ষণের শিকার নারী শ্রমিক চিৎকার দিতে চাইলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখায় ধর্ষণকারীরা। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই নারীকে কক্ষ থেকে বের করে দেয়া হয়। পরদিন ২৪শে ফেব্রুয়ারি আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ইন্টিলিজেন্স) ফজলুল হক জানান, নারী শ্রমিককে  গণধর্ষণের ঘটনায় সোমবার রাতে নরসিংহপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মঙ্গলবার দুপুরে তাদের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে  গণধর্ষণের ঘটনায় পলাতক অপর আসামি প্রেমিক সামিউল ইসলাম মৃধাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া ভুক্তভোগী নারী শ্রমিককে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর