× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নবীগঞ্জে জনতা-শ্রমিক সংঘর্ষ, আহত শতাধিক

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নবীগঞ্জ থেকে
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বুধবার

নবীগঞ্জে জনতা ও অটোরিকশা (সিএনজি) শ্রমিকদের সংঘর্ষে শতাধিক আহত হয়েছে। গতকাল দুপুরে উপজেলার বাউশা ইউনিয়নের রোদ্রগ্রাম সড়কে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক সিএনজি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শ্রমিক সংগঠন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই শ্রমিককে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বাউসা বাজারের শ্রমিকদের সাথে বাউসা গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
এতে করে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, উপজেলা শহরের সোনার-খনি থেকে বাউসা পয়েন্টের নির্ধারিত ভাড়া ১৫ টাকা। গ্রামবাসীর দাবি ৫ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে শ্রমিকরা। তবে শ্রমিকরা বলছেন, ৬ কিলোমিটার জায়গা গাড়ি চালিয়ে ন্যায্য ভাড়াই আদায় করা হচ্ছে। ১০ টাকার বেশি ভাড়া দিতে অনিহা গ্রামবাসীর। এরই জের হিসেবে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে থানার ওসি মো. আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তিন ঘণ্টাব্যাপী শ্রমিক ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন (নবীগঞ্জ-বাহুবল) সার্কেল এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া মমিন, বাউসা ইউপি চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক, মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি ইয়াওর মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিত সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহতরা হলেন, মো. সালাম চৌধুরী (৫৫), মতিউর রহমান (৪০), শাহ আরফান (৯), মিঠু (২২), রমজান (৩০), আব্দুলা (২৬), রফি মিয়া (২৫), ফজলু মিয়া (৩৫), আব্দুল আলী (৩২), আব্দুল ওয়াহিদ (২৬), সুমন (২২), আব্দুল ওয়াহিদ (৫০) চদ্দর মিয়া (৪০), শাকিল (১৮), সুলেমান মিয়া (৩২), সাইদুল ইসলাম (৩০), আব্দুল মান্নান (৪৫), সোহাগ আহমেদ (২৫) হুমায়ূন মিয়া (২২) আরজু মিয়া (৬৯), ওয়াসকুরুনি (৪০), আব্দুল হক (২৫) সোহেল মিয়া (৩৭), স্বপন (২৩), ইমন (১৮), আব্দুল কাইযূম (৩০) সাজন মিয়া (৩০), সুরেন্দ সুত্রধর (৩৫), শানুর আলী (৩২), শাহিদুল (৩০)। অপর আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এনিয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আজিজুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় পুলিশ ফোর্স মোতায়েন রয়েছে। এরিপোর্ট লিখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর