× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

২০৪১ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৯.৯ শতাংশ

দেশ বিদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বুধবার

দেশের দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১- ৪১ এনইসি সভায় অনুমোদন পেয়েছে। এই ২০ বছরের মধ্যে এ প্রেক্ষিত পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করা হবে। এতে ২০৪১ সালে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৯.৯ শতাংশ। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এনইসি সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এই প্রেক্ষিত পরিকল্পনার বিশদ সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। উন্নত দেশে যেতে এই ২০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনটি তৈরি করেছে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এই ২০ বছরে মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ুষ্কাল বেড়ে দাঁড়াবে ৮০ বছরে। এক্ষেত্রে ২০১৮ সালের হিসেবে গড় আয় ৭২.৩ বছর থেকে ২০৩১ সালে বেড়ে হবে ৭৫ বছর। নতুন প্রেক্ষিত পরিকল্পনার প্রক্ষেপণে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৮.২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০৩১ সালে দাঁড়াবে ৯ শতাংশে।
সেটি আবার বাড়তে বাড়তে ২০৪১ সালে গিয়ে হবে ৯.৯ শতাংশ। সেই সঙ্গে চরম দারিদ্র্যের হার ২০২০ সালে ৯.৩৮ শতাংশ থেকে কমে ২০৩১ সালে পৌঁছাবে ২.৫৫ শতাংশে। সেটি পরিকল্পনার শেষ বছর ২০৪১ সালে কমে দাঁড়াবে ০.৬৮ শতাংশে। অন্যদিকে, মাঝারি দারিদ্র্য বর্তমান বছরের ১৮.৮২ শতাংশ থেকে কমে ২০৩১ সালে দাঁড়াবে ৭.০ শতাংশে। পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শেষে ২০৪১ সালে এ হার হবে ৩ শতাংশের নিচে। এই ২০ বছরের প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় যেসব বিষয়ে বিশেষ নজর: পরিকল্পনায় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে বৈষম্য হ্রাস, ধারাবাহিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন, দারিদ্র্য নিরসন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, বিনিময় হার ব্যবস্থাপনা, লেনদেনের ভারসাম্য রক্ষা, পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন ব্যবস্থাপনা এবং এলডিসি উত্তরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি থাকছে। পরিকল্পনায় আরো যেসব বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে, দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি, প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার, জ্বালানি খাতের উন্নয়ন, যোগাযোগ খাতের বিশেষ উন্নয়ন, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন, বহুত্ববাদী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণসহ বিভিন্ন বিষয়। অর্থাৎ একটি দেশে উন্নত দেশে পরিণত হতে হলে যা-যা প্রয়োজন তার প্রায় সব কিছুই পরিকল্পনাটিতে সন্নিবেশ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে দেশের প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনাটি (২০১০-২০২১) তৈরি করা হয়। এটি বাস্তবায়ন এনইসিতে করা হয় ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১০-১৫) ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১৬-২০) মাধ্যমে। ফলে ২০০৯ সালের ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি থেকে বেড়ে এখন ৮ শতাংশের ঘর অতিক্রম করেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর