× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় / ৭৬০ দিন অনুপস্থিত থেকেও তিনি উপাচার্য

শিক্ষাঙ্গন

অনলাইন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১২:৫৪ অপরাহ্ন

রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর ক্যাম্পাসে অনুপস্থিতি শুধু বাড়ছেই। যোগদানের ৯৮৭ কার্য দিবসে তিনি অনুপস্থিত ৭৬০ দিন। এতদিন অনুপস্থিত থেকে উপাচার্যের পদে বহাল থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র। এ নিয়ে ক্যাম্পসজুড়েও চলছে নানা আলোচনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগের শর্তে বলা হয়েছে, উপাচার্যকে সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে উপস্থিত থাকতে হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর দীর্ঘ অনুপস্থিতিত সে শর্ত ভঙ্গ হয়েছে।   

এরই মধ্যে এক সপ্তাহ আগে উপাচার্যের অনুপস্থিতির তালিকা প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদ।  সংগঠনটির নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বরে একটি নোটিশ বোর্ড স্থাপন করে তাতে উপাচার্যের অনুপস্থিতির দিন

গুনছেন। তারা জানান, যোগদানের পর থেকে মাত্র ২২৭ দিন ক্যাম্পাসে উপস্থিত হন অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ। এর মধ্যে কোনোদিন এক কিংবা দুই ঘন্টা অবস্থান করেন।
এক সপ্তাহ আগে  প্রকাশ করা ওই তালিকায় অনুপস্থিতির সংখ্যা শুধু পরিবর্তন হচ্ছে।  অধিকার সুরক্ষা পরিষদের নেতারা জানান, পরবর্তীতে শুধু দিন নয়, ঘন্টা ও মিনিটের তালিকাও প্রকাশ করা হবে।

অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক ড. মতিউর রহমান জানান, বর্তমান উপাচার্যের নিয়োগপত্রে সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে উপস্থিত থাকার কথা বলা থাকলেও তিনি ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থাকেন। দিনের পর দিন, মাসের পর তিনি অনুপস্থিত থাকায় আমরা তার তালিকা প্রকাশ করেছি।
তিনি আরো জানান, প্রতিদিনই এই তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। আমরা চাই উপাচার্য ক্যাম্পাসে নিয়মিত আসুক। কিন্তু অনুপুস্থিতির তালিকা বোর্ড স্থাপনের সাতদিন পরও তিনি এলেন না।

এর আগে ৫ই ফেব্রুয়ারি শিক্ষকদের সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদ যাত্রা শুরু করে। তারপর ১১ই ফেব্রুয়ারি সংগঠনটি ২১ দফা দাবি নিয়ে ডিজিটাল ব্যানারে প্রিন্ট করে উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর কক্ষের দরজায় সেঁটে দেয়। ওই দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য ছিল নিয়োগের শর্ত অনুযায়ী ভিসির নিয়মিত ক্যাম্পাসে উপস্থিত থাকা।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের জুনে বেরোবির উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ। এ ছাড়া তিনি ঢাবির লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপির) উপ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর