ভারতের দিল্লিতে মুসলমানদের হত্যা-নির্যাতন এবং মসজিদ ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দারুল উলুম হাটহাজারীর মহাপরিচালক, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে ইসলাম ও মুসলিমবিদ্বেষী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশের জনগণ দেখতে চায় না। মোদির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে গুজরাট, কাশ্মীর দিল্লিসহ অনেক রাজ্য মুসলমানদের খুন করা হয়েছে। চরম নির্যাতন নিপীড়ন চালানো হয়েছে। তাই যার হাতে মুসলিম গণহত্যার দাগ লেগে আছে তার উপস্থিতি সামপ্রদায়িক সমপ্রীতির দেশ বাংলাদেশের জনগণ মেনে নিবে না। অবিলম্বে মোদির রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণ বাতিল করা হোক। আল্লামা আহমদ শফী বলেন, মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুসলমানদের উপর যেভাবে জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে তা পরিস্কার রাষ্ট্রীয় নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। শুধু ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সহিংসতায় ২০ জনের অধিক মুসলমান নিহত হয়েছে।
মুসলমানদের পবিত্র স্থান মসজিদে আগুন দেয়া হয়েছে। খোঁজে খোঁজে মুসলিমদের বাড়িঘর ও দোকানপাটে অগ্নসিংযোগ ও হামলা করা হয়েছে। এরপরও মুসলমান প্রচণ্ড ধৈর্যধারণ করছে। তবে একথা ভুলে গেলে চলবে না, মুসলমান ধৈর্যশীল তবে ভীরু নয়। মুসলমানগণ প্রতিরোধ গড়ে তুললে মোদির মসনদ তছনছ হয়ে যাবে। আমীরে হেফাজত আরো বলেন, ভারতের শ’ শ’ বছরের ইতিহাস, ঐতিহাসিক স্থাপনা ও ঐতিহ্য-অবদানে মুসলমানদের নাম মিশে আছে। ভারতের ঐতিহাসিক বহু স্থাপত্য মুসলমানদের তৈরি। চাইলেই এসব মুছে দেয়া যায় না। ভারতীয় মুসলমানদের অবদানের কাছে আজ পুরোবিশ্ব ঋণী।