মাস্ক পরার যদি কোনো প্রয়োজনই না থাকে তাহলে হাসপাতালগুলোতে নার্স আর ডাক্তারেরা কেনো হ্যাজম্যাট পরে থাকে?
আমি ভাই মাস্কও পরবো, গ্লাভসও পরবো। আমার আশে-পাশের সবাইকেও পরতে বলবো। চীনের এতো কাছে থাকার পরেও হংকংয়ে এতো কম ইনফেকশনের অনেক কারণের একটা ছোট কারণ হংকংয়ের মানুষজন প্রায় সারা বছরই মাস্ক পরে। হংকংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়া ওয়াশিংটন পোস্টের একটা লেখায় দেখলাম করোনা বিস্তাররোধে হংকংয়ের সাফল্যের কথা বলতে গিয়া পাবলিক হেলথের একজন প্রফেসর, যিনি আগে ডব্লিউএইচও-তে কাজ করতেন, এটার উল্লেখ করছে। তবে তাদের সাফল্যের আসল কারণ, জিনিসটারে সবার আগে গুরুত্ব দেয়া এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া। তারা অ্যালার্ম রেইজ করছে জানুয়ারির শুরুতে যখন এটা এতো ছড়ায় নাই। কারণ সতর্ক হইতে হবে ঝড় আসার আগে। আইসা গেলে আর কিছু করার নাই।
উট পাখির মতো ‘জাস্ট অ্যানাদার ফ্লু’ বইলা বাঁচার যে উপায় নাই সেটা ইতালি আর আমেরিকারে দেইখা বোঝা যাচ্ছে। ইয়াহু নিউজে পরশু একটা লেখা ছাপা হইছে ‘অ্যানাদার ফ্লু বলে হালকাভাবে নিওনা’ শিরোনামে। ঐটা পড়লে বোঝা যাবে ইতালির সরকার এবং নাগরিকেরা এটারে কতো হালকাভাবে নিছিলো এবং তার মাশুল কতো খারাপভাবে দিতে হচ্ছে।
আরেকটা কথা ভাই, গরমে এই ভাইরাস বাঁচে না এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখনো হাজির হয় নাই। গরমের দেশ সিঙ্গাপুর আর মধ্যপ্রাচ্যের দিকে তাকালে বোঝা যাবে। সুতরাং হালকাভাবে না নিয়া একটু সিরিয়াসলি নেন। কারণ দেখা গেলো আপনি হালকাভাবে নিলেন, আপনার করোনা হইছে আপনি টের পাইলেন না, আপনার ইমিউন সিস্টেম ভালো আপনি মরলেন না, কিন্তু আপনি ক্যারিয়ার হইয়া ঘুরতেছেন চারদিক, আপনার আশেপাশের অন্যরাও হালকাভাবে নিয়া ঘুরতেছে, ফলাফল হবে আমরা অজান্তেই এই ভাইরাসরে ছড়াইয়া দিবো সারা দুনিয়ায়। সাহসী হইতে গিয়া দয়া করে তাই ভাইরাসের পাখনা হবেন না। কখনো কখনো ভীরুতা সাহসের চেয়েও ফলদায়ক।
জগতের সবাই সম্মিলিতভাবে এই আজাব পার করুক।
(লেখক: চলচ্চিত্র নির্মাতা, লেখাটি তার ফেসবুক ওয়াল থেকে নেয়া।)