× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনা নিয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীর স্ট্যাটাস /'ছুটি ঘোষণা করলে কী ক্ষতি হবে? যদি কেউ বুঝিয়ে দিতেন'

ফেসবুক ডায়েরি

অরণি সেমন্তি খান
১৪ মার্চ ২০২০, শনিবার

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো জনসমাগমের একটা ক্রিটিকাল পয়েন্ট। ইতালিতে ভয়াবহ ভাবে সংক্রমণ ঘটেছে করোনা ভাইরাসের, যেখান থেকে ফিরবেন অনেক প্রবাসী। এর মাঝেই আগামীকাল স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে বেরোবে বহু পরিবার। মৃত্যুর হার কম হলেও, বেশ সংক্রামক এই ভাইরাসটি। আর এটা ছড়িয়ে পড়াটা খুবই সহজ, হাঁচি, কাশি, ছোঁয়ার মাধ্যমে, ব্যবহৃত জিনিসের মাধ্যমে। আবার অনেকে আছেন যারা উপসর্গ না দেখিয়ে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন, বলে আমরা জানি, এদেরকে বলা হচ্ছে রিজারভয়ার বা অ্যাসিম্পটোম্যাটিক ক্যারিয়ার। ধরেন এয়ারপোর্টে কর্মরত ব্যক্তি এই ইতালী ফেরতদের প্রসেসিংয়ের কাজে ছিলেন, সে বাসায় গিয়ে একবার মাত্র হাঁচি দিলেন, এরপর থেকে ছড়ালো তার সন্তানদের যারা আগামীকাল ৬ ঘণ্টা কাটাবেন নানা প্রান্ত থেকে আসা সহপাঠীদের সাথে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীদের অনেকে যাবেন গণরুমে, এমন একটা রুম যেটা "সুনাম" রয়েছে সারাবছরই এরকম ফ্লু, চর্মরোগ ইত্যাদি ছড়ানোর কেন্দ্র হিসেবে।
এভাবেই মহামারী আকার ধারণ করে একটা রোগ। মহামারী হয়নাই, তাই বলে বন্ধ ঘোষণা হবেনা, এরপর মহামারী হবে, একটা লাশ অন্তত পড়বে হেয়ালির কারণে এরপর আমরা সব বন্ধ করবো- এমনটাই কি চাচ্ছি আমরা?

পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমরা ছাত্র যারা, এই বয়সী লোকজনদের মরার কথা না। তবে এভাবে লোকে লোকে ছড়াবে এবং খুব দ্রুত এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে যাবে শিশু এবং বিশেষ করে বয়ষ্কদের কাছে, পরিসংখ্যান অনুযায়ী যারা বেশি সংবেদনশীল। দেখা গেছে বয়ষ্কদের মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। বাড়ি ফিরে আমরা তাদের কাছেই নিয়ে যাবো তাদের মৃত্যুর কারণকে।

পাশের পশ্চিমবঙ্গেও নোটিশ এসেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের। এই ছুটি ঘোষণা করলে কী ক্ষতি হবে, যদি কেউ বুঝিয়ে দিতেন ভাল হত। আর ভাইরাসটা এভাবে হেয়ালি করে ছড়িয়ে দিয়েই হবে বিশাল ক্ষতি, মানুষের অর্থনীতির আর যা কিছুর ক্ষতি আপনারা হিসাব করছেন।

#করোনার_সময়_ক্লাস_নয়

ফেসবুক থেকে নেয়া, লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অরণি সেমন্তি খান
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর