এখন চেরি ফুলে ছেয়ে গেছে জাপানের বাগান, পার্ক। প্রতিবছরই এ সময়টাতে জাপানিরা এই চেরি ফুল দেখতে দলে দলে নেমে পড়েন। তারা একে উৎসব হিসেবে মনে করেন। তাই এ উৎসবকে নাম দেয়া হয়েছে চেরি ফুল দেখার উৎসব। জাপানিরা একে বলে থাকেন ‘হানামি’। কিন্তু এ বছর সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস মানবতাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। মানুষ বাঁচার জন্য যে যেভাবে পারেন, সেভাবে চেষ্টা করছেন। লকডাউন হয়ে আছে দেশের পর দেশ।
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি অফিস- সব বন্ধ। অতি আণুবীক্ষণিক ওই করোনা ভাইরাসের আগ্রাসন থেকে বাঁচতে মানুষ বন্ধ করে দিয়েছে সীমান্ত। বিমান চলাচলও প্রায় বন্ধ। নিজেদের করেছে ঘরের ভিতর স্বেচ্ছাবন্দি। কিন্তু সেই মুহূর্তে এসব ভয়কে পিছনে ফেলে জাপানিরা হানামি উৎসবে মেতেছেন। কিন্তু টোকিওর মেয়র ইউরিকো কোইকো বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি। তিনি জাপানিদের অনুরোধ করেছেন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হবেন না। কারণ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাই তিনি বুধবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
তাতে বলেছেন, টোকিওতে এখন সঙ্কটকালীন মুহূর্ত চলছে। ওদিকে টোকিওতে করোনা ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ জন। আর ২৪ ঘণ্টায় জাপানে মারা গেছেন ২ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৮।