নানা নাটকীয়তার পর চট্টগ্রামে পৌঁছেছে করোনা শনাক্তকরণ কিট। এর এক সপ্তাহ আগে স্বাস্থ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪৮ ঘণ্টার ঘোষণা দেয়া হলেও তা যেন শেষ হচ্ছিল না। এ নিয়ে গণমাধ্যমেও ছিল ভুল সংবাদ পরিবেশনের হিড়িক।
বৃহসপতিবার ভোরে সীতাকুণ্ডের বিশেষায়িত হাসপাতাল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজে (বিআইটিআইডি) পৌঁছায় করোনা শনাক্তকরণ কিট। বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. আবুল হাসান। তিনি বলেন, একজন ল্যাব টেকনেশিয়ান ভোরে ঢাকা থেকে করোনা শনাক্তকরণ কিট নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছেছেন। এখন আমরা আরও বেশিসংখ্যক রোগীকে পরীক্ষার আওতায় আনতে পারবো। বিআইটিআইডির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক শাকিল আহমদ বলেন, সকালে ঢাকা থেকে করোনা শনাক্তকরণ কিট আমাদের হাতে পৌঁছেছে। এর আগে আমরা ফ্রান্স থেকে সংগ্রহ করা কিটে করোনা পরীক্ষা করছিলাম।
কী পরিমাণ কিট পাঠানো হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হিসাব করা এখন সম্ভব নয়, তবে আসা করছি যা পেয়েছি তাতে অন্তত একশ-দেড়শ’ রোগীর করোনা টেস্ট করা যাবে। আবুল হাসান বলেন, বিআইটিআইডির ফ্লু কর্নারে প্রতিদিন গড়ে ৫০-৬০ রোগী আসছেন। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কারো করোনা টেস্ট করা হচ্ছে না। এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে ১৫ জনের করোনা টেস্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ আর একজনের রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। এম এ হাসান আরো বলেন, কিট পাওয়ায় ৮টি বিশেষায়িত টিম গঠন করে করোনা চিকিৎসার পরিকল্পনা নিয়েছি আমরা। তবে আমাদের হাসপাতালে জনবল সংকট আছে। এজন্য জনবল চেয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত পেয়ে যাবো। বিশেষায়িত হাসপাতাল বিআইটিআইডি বর্তমানে ৮ জন কনসালটেন্ট ও ১৮ জন মেডিকেল অফিসার আছেন। যারা করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে সক্ষম। তবে বিশেষায়িত টিম গঠনের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের এ সংখ্যা পর্যাপ্ত নয় বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে বিআইটিআইডি হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য ১০০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সংক্রামক রোগ নিয়ে গবেষণা ও চিকিৎসার জন্য প্রতিষ্ঠিত এই হাসপাতালে তিনজনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে বলে জানান এম এ হাসান।