× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য হোটেল-গেস্ট হাউজে থাকার ব্যবস্থা

এক্সক্লুসিভ

কলকাতা প্রতিনিধি
২৭ মার্চ ২০২০, শুক্রবার

করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় যে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা মানুষের সেবা করে চলেছেন, তাদের হাসপাতালের নিকটবর্তী হোটেল, গেস্টহাউসে রাখার ব্যবস্থা হচ্ছে বলে বুধবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন। দেশ পুরো লকডাউন হওয়ায় কোনো যানবাহন না থাকায় অনেক চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হেঁটে বা অন্যের সাহায্য নিয়ে হাসপাতালে আসতে হচ্ছে। এই সমস্যা মেটাতে সায়েন্স সিটির কাছে আইটিসি সোনার, চৌরঙ্গীর কাছে হিন্দুস্তান ইন্টারন্যাশনালের মতো হোটেল রাজ্য সরকার ভাড়া নিয়েছেন বলে জানা গেছে। অনেক গেস্ট হাউসও সরকার সাময়িকভাবে অধিগ্রহণ করেছে। এই সব জায়গায় চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের রাখা হবে। তাদের খাওয়া-দাওয়া এবং আনা-নেয়ার দায়িত্বও সরকার পালন করবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই কলকাতা ও শহরতলীতে ভাড়ায় থাকা অনেক চিকিৎসক ও নার্সকে করোনার ভয়ে বাড়ি মালিকরা ঘর ছেড়ে চলে যেতে বলেছেন। এই ব্যবস্থার কোনো নজির যেন তৈরি না হয় সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী কঠোর হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
পাশাপাশি তিনি মানবিক হওয়ারও আবেদন জানিয়েছেন। রাজ্যের গরিব পরিবারগুলোকে এক মাসের রেশন একবারে দিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এ জন্য রেশন দোকান প্রতিদিন খোলা থাকবে। এ ছাড়াও যে সব সামাজিক পেনশন চালু রয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে দু’মাসের পেনশন একসঙ্গে দিয়ে দেয়া হবে। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে চলার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মানে মানুষকে আলাদা করে দেয়া নয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, অযথা আতঙ্কিত হয়ে জিনিস মজুত করবেন না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের জোগান নিরবচ্ছিন্ন থাকবে। এ ব্যাপারে পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারকদের তিনি দায়িত্ব দিয়েছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সকলকে সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, কারও জ্বর হতেই পারে। তাই বলে তাকে সামাজিক ভাবে বয়কট করা চলবে না। কেউ খেতে না পেলে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। করোনা মোকাবিলায় রাজ্য ২০০ কোটি রুপির তহবিল গঠন করলেও আরো অর্থের প্রয়োজন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আপদকালীন রিলিফ ফান্ডে অনুদান দেয়ার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে এবং প্রবাসীদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
জনপ্রতিনিধিদের অর্থ বরাদ্দ: করোনা মোকাবিলায় হাসপাতাল ও চিকিৎসার পরিকাঠামো উন্নয়নে পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট এবং বিজেপি’র জনপ্রতিনিধিরা তাদের এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বামফ্রন্টের বিধায়করা তাদের বিধায়ক তহবিল থেকে ন্যূনতম ১০ লাখ রুপি করে অর্থ বরাদ্দের কথা জানিয়েছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে ওই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, তাদের বিধায়ক তহবিল থেকে এই বরাদ্দের কথা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের দ্রুত জানিয়ে দেয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে সুজনবাবু লিখেছেন, ‘কভিড-১৯’-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস। মুখ্যমন্ত্রী বাম বিধায়কদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এই বিপর্যয়ের সময়ে এবং ভয়াবহ এক যুদ্ধের ক্ষেত্রে এক এক জন নাগরিকের এক একটি টাকাও রাজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বামদের মতো একজোট হয়ে সিদ্ধান্ত না নিলেও বিজেপি’র সাংসদরা নিজেদের মতো করে রাজ্যে করোনা তহবিলে অর্থ বরাদ্দ শুরু করেছেন। হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার নিজেদের সাংসদ তহবিল থেকে এক কোটি রুপি করে দেয়ার ঘোষণা করেছেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী-সহ রাজু বিস্ত, জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিক, কুঁওয়ার হেমব্রম ৫০ লাখ রুপি করে এবং সুকান্ত মজুমদার ৩০ লাখ রুপি করোনা মোকাবিলায় দেয়ার কথা জানিয়েছেন। এই অর্থ কোন হাসপাতালে কীভাবে খরচ হবে, তা ঠিক করার ভার সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের উপরেই ছেড়ে দিচ্ছেন তারা। এদিকে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়ে শাসক ও বিরোধী সব দল মিলিত ভাবে আর্জি জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। গত মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে করোনা মোকাবিলার জন্য ১৫ হাজার কোটি রুপি বরাদ্দের কথা জানিয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর