× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভিন্ন পরিবেশে স্বাধীনতা দিবস

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৭ মার্চ ২০২০, শুক্রবার

ছিল না লাখো মানুষের ঢল, ফুলের স্তূপ। শিশু থেকে বৃদ্ধ কাউকে ব্যানার হাতে দাঁড়িয়েও থাকতে দেখা যায়নি। অনেকটা সুনসান নীরবতা। ফাঁকা। এ এক অচেনা পরিবেশ। ভিন্ন আবহ। গতকাল মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এমন পরিবেশই ছিল সাভার স্মৃতিসৌধ এলাকায়। প্রতি বছর এই দিনে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে লাখো মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম বারের মতো করোনা সতর্কতার কারণে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচি বাতিল করা হয়। শুধু সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ নয় একই চিত্র ছিল গোটা বাংলাদেশে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এক ভিন্ন পরিবেশে পালিত হলো স্বাধীনতার ৪৯তম বার্ষিকী। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোসহ সকল জাতীয় কর্মসূচি বাতিল করা হয়। আওয়ামী লীগও এর আগে স্বাধীনতা দিবসের সকল কর্মসূচি বাতিল ঘোষণা করে। কর্মসূচি বাতিল করে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলও। স্বাধীনতার ৪৯তম বার্ষিকীতে এবার ভিন্ন ইমেজ ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। করোনার কারণে জাতির পিতার জন্মশতবর্ষের কর্মসূচিও কাটছাট করা হয়েছে। এবার গোটা বিশ্বের মতো অদৃশ্য এক শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে বাংলাদেশও। করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে সতর্কতা জারি করায় কার্যত লকডাউনে আছে দেশ। এমন অবস্থায় বিজয় দিবসের কর্মসূচি না থাকলেও মহান বীর শহীদ স্মরণ করা হয়েছে গভীর শ্রদ্ধায়।

ফাঁকা স্মৃতিসৌধ: এদিকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গতকাল স্মৃতিসৌধে আসেনি কেউ। করোনা সতর্কতার কারণে ফুল ও ব্যানার হাতে ছিল না লাখো জনতার ঢল। একেবারে ফাঁকা ছিল সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ। রাষ্ট্রীয় সকল আনুষ্ঠানিকতা সরকারিভাবে স্থগিত করা হয়েছে আগেই। তবে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গণপূর্ত অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ধোয়া মোছা ও রংতুলিসহ সকল কার্যক্রম করা হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে লোক সমাগম নিষেধ থাকায় স্মৃতিসৌধে কোন নেতাকর্মী বা কোন সংগঠন ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসেনি। প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসে রাষ্টী্রয় আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতো সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে। দিবসটি উপলক্ষে সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতেন স্মৃতিসৌধে। এরপরই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঢল নামতো সাধারণ মানুষের। এদিকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সকালে সাভার উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় সঙ্গীত এর মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। এসময় তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস রোধে বর্তমান সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের কোন মানুষ না খেয়ে থাকবে না। ইতিমধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেশের সকল অসহায় ও দুস্থদের মাঝে চালসহ নগদ টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। পরে প্রতিমন্ত্রী করোনা ভাইরাস রোধে সাভারের থানা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পানি দিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। মন্ত্রীর সঙ্গে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমান, সাভার মডেল থানার ওসি এ এফ এম সায়েদসহ আরো অনেকে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর