× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনায় বার্মিংহামের ফুটবল কোচ বোসার মৃত্যু

অনলাইন

নিজস্ব প্রতিনিধি, বৃটেন থেকে
(৪ বছর আগে) মার্চ ২৯, ২০২০, রবিবার, ৮:১৩ পূর্বাহ্ন

বার্মিংহামের জনপ্রিয় ফুটবল কোচ, রেফারি জন বোসফিল্ড করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এক সপ্তাহ ধরে কোভিড -১১ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে বৃহস্পতিবার সকালে কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে তিনি মারা যান। পেশাগত জীবন শেষে এই হাসপাতালে এক সময় স্বেচ্ছাসেবি নার্সের কাজ করতেন জন বোসফিল্ড। তিনি ড্রুইড হিথ অঞ্চলে বেড়ে ওঠেন। ইঞ্জিনিয়ার হয়ে তাঁর কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় ব্যয় করেছেন। এরপরে তিনি সহায়ক নার্সের প্রশিক্ষণ নিয়ে কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবক হয়েছিলেন। তবে কয়েকবছর আগে স্ট্রোক হলে তিনি অবসর গ্রহণে বাধ্য হন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি ফুটবল উপভোগ করতেন।

বার্মিংহাম সিটি ফুটবল ক্লাবের অনুরাগী জন ফুটবলের প্রতি ভালবাসা, রসবোধের কারণে ফুটবলপ্রেমীদের কাছে সুপরিচিত ছিলেন।
বার্মিংহামের ফুটবলপ্রেমীরা তাকে আদর করে ডাকতেন ‘বোসা’ ও ‘মিস্টার রুবারি জুনিয়র্স’। তিনি ছিলেন দক্ষিণ বার্মিংহামের রুবারী জুনিয়র্স ফুটবল ক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৮৭ সালে কেভিন ব্লেবৈরোর সাথে মিলে দক্ষিন বার্মিংহামে রুবারি জুনিয়র্স ফুটবল ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। ক্লাবের স্থায়ী ঠিকানা করতেও রেখেছেন অগ্রনী ভূমিকা। বলা হয় তিনি কেবল ফুটবল ক্লাবই প্রতিষ্ঠা করেননি একটি কমিউনিটি গঠনে ভূমিকা রেখেছেন। রুবারী ক্লাব প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায় তার অনন্য ভূমিকার কারণ মানুষ তাকে স্মরণে রাখবে। এই ক্লাবের মাধ্যমে তিনি শত শত শিশুকিশোরকে প্রতিযোগিতামুলক ফুটবল খেলার সুযোগ করে দিয়েছেন। বোসার মৃত্যুর পর জন রুবারির ফেসবুক পেজে ক্লাবের কর্তা জন পিলিংজার লিখেছেন- ‘বাউসা কেবল আমাদের দুর্দান্ত জুনিয়র ফুটবল ক্লাব গড়ে তুলতে সহায়তা করেছিলেন, তিনি একটি সম্প্রদায় গড়ে তুলতে সহায়তা করেছিলেন। তাঁর স্মৃতি ধন্য হাজার হাজার লোক দুঃখের সঙ্গে তাকে অনুভব করবেন।

বিশেষত তাঁর প্রতিশ্রুতির জন্য আমি তাকে স্মরণ করব আমাদের ক্লাবে। আমি এতই কৃতজ্ঞ যে তিনি আমার পথ সুগম করলেন। শান্তিতে বিশ্রাম নিন।’ বোসার মেয়ে লিসা জেমস বলেছেন, আমার পিতা সবসময় রসিকতা করতেন, পান করতে পছন্দ করতেন এবং সবাইকে খুব ভালোবাসতেন। যে কোনো সময় মানুষের জন্য কিছু করতে পছন্দ করতেন। তিনি বুল রিংয়ের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন। তার পুত্র কিথ বাউসফিল্ড বলেন, ফুটবলই ছিল তার জীবন। তিনি ফুটবলের জন্য বেঁচে ছিলেন, তিনি তা করতে পছন্দ করতেন। তিনি চাইতেন শিশুরা ফুটবল খেলতে আসুক। এদিকে লকডাউন দ্বারা আরোপিত বিধিনিষেধের কারণে- রেডডিচ ক্রেমটোরিয়ামে একটি ছোট্ট অন্তোস্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। লকডাউন শেষে ক্লাবের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ স্মরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর