বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন করা হয়েছে। বাংলাদেশেও করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ইতিপূর্বে সশস্ত্র বাহিনী নামানো হয়েছে মাঠে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সাধারণ ছুটি ও গণপরিবহনে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তারপরও ছুটি নেই মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ১৬টি চা বাগানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের। এ সকল বাগানে প্রতিদিনই কাজ করছেন শতশত চা শ্রমিক।
কিন্তু তাদের পাশে এগিয়ে আসছেনা না কোন সামাজিক সংগঠন। তাছাড়া চা বাগানের মালিক পক্ষ থেকেও নেয়া হচ্ছে না তেমন কোন উদ্যোগ। দেশের সব কিছু বন্ধ ঘোষণা করা হলেও এখনো ছুটি পায়নি চা শ্রমিকরা। ফলে ওই সকল বাগান ও চা শ্রমিকদের মাঝে বাড়ছে করোনার ঝুঁকি।
জুড়ীর বেশ কয়েকটি চা বাগান ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিনের মতোই সকাল থেকে চা-শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেছে। রুটিন অনুযায়ি কাজ করে যাচ্ছেন। তারা জানান, তাদের ছুটি নেই। তাই কাজে এসেছেন। আর কাজ না করলে খাবেন কই থেকে। মালিক ও বড় বাবুরা ঘরে বসিয়ে ত টাকা দিবে না। তাছাড়া ওই শ্রমিকদের সাথে করোনা ভাইরাস নিয়ে আলাপ করলে, তারা বলেন এটার কথা শুনেছি। তবে উপরওয়ালা আমাদের রক্ষা করবেন।
জুড়ীর সাগরনাল চা-বাগানের ব্যবস্থাপক সুজিত কুমার সাহা এবং রত্মা চা বাগানের উপব্যবস্থাপক শামছুল হক ভূঁইয়া জানান, করোনা ভাইরাস সর্ম্পকে ইতিমধ্যে তাদের শ্রমিকদের সচেতন করা হয়েছে। শ্রমিকদের জন্য মাস্ক ও সাবান কেনা হয়েছে যা আজকালের মধ্যেই তারা বিতরণ করবেন।
জুড়ী উপজেলার কাপনা পাহাড় চা-বাগানের সকল শ্রমিকদের মধ্যে বাগান মালিকের পক্ষথেকে শুক্রবার দুপুরে মাস্ক ও সাবান বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কাপনা পাহাড় চা-বাগানের ব্যবস্থাপক কামরুল হাসান, সহকারি ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম, সালাউদ্দিন আহমেদ, জুড়ী ভ্যলীর চা শ্রমিকের প্রেসিডেন্ট কমল বুনার্জি, ইউপি সদস্য অমপ্রকাশ বার্মা প্রমূখ। মোট ১৩ শত শ্রমিকের মধ্যে এসব সাবান ও মাস্ক বিতরণ করা হয়।