× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মোবাইলেও ঘাপটি মেরে থাকে করেনাভাইরাস, কী ভাবে ব্যবহার করলে দূরে থাকবে অসুখ?

অনলাইন


(৪ বছর আগে) মার্চ ৩০, ২০২০, সোমবার, ৪:২১ পূর্বাহ্ন

কোভিড-১৯-এর হাত থেকে মুক্তি পেতে সকলেই গৃহবন্দি। দুনিয়ার খবর পেতে খবরের কাগজে চোখ রাখা তো আছেই, তবে সে সব সঙ্গে সঙ্গে হাতেগরম পেতে মোবাইল ফোনই আমাদের সর্বক্ষণের সঙ্গী। ইদানীং করোনাভাইরাস সংক্রান্ত খবর দ্রুত পেতেও সকলে চোখ রাখছেন মোবাইলে।

এ দিকে নাগাড়ে মোবাইল ব্যবহারে ঘাড়ে ব্যথা, আঙুল ও কব্জির যন্ত্রণা বা চোখের সমস্যাও মারাত্মক বিপদ নিয়ে অপেক্ষা করে থাকতে পারে। এমনকি, মোবাইলে লুকিয়ে থাকা সার্স কোভ -২ করোনাভাইরাস সুযোগ বুঝে আক্রমণও করতে পারে যখন তখন। স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়ের মতে, এই দুই বিষয় থেকেই বিপদ ঘনাতে পারে।

কোথায় ভুল

সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, কাফ এটিকেট, মাস্ক, গ্লাভস নিয়ে আমারা যথেষ্ট সতর্ক হলেও মোবাইল থেকে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ব্যাপারে কোনও সতর্কতাই সে ভাবে নেওয়া হচ্ছে না। অথচ এ কথা অজানা নয় যে, আমাদের নাক-মুখ আর চোখ দিয়ে বিশ্ব মহামারি করোনাভাইরাসের জীবাণু শরীরে সেঁধিয়ে যায়। অথচ যেখানে-সেখানে মোবাইল ফোন কানে চেপে ধরতে একটুও দ্বিধা হয় না। কান থেকে চোখ, নাক, মুখের দুরত্ব যৎসামান্য।
তাই সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারে রেডিয়েশনের জন্য এবং ভুল ভঙ্গির কারণে ঘাড়, হাত ও আঙুলে ব্যথার ঝুঁকি বাড়ে। তবে সব থেকে বেশি ঝুঁকি করোনাভাইরাস সংক্রমণের।

লকডাউনের কারণে আমরা বাড়িতে থাকলেও বাজারহাট অথবা নিতান্ত দরকারে মোবাইল-সহ বাইরে বেরোতেই হয়। বিশেষ করে যাঁরা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত যেমন চিকিৎসক, সাংবাদিক, বিদ্যুৎকর্মী, দুধ বা খবরের কাগজ সরবরাহকারী এঁরা প্রত্যেকে নিত্য দিন নানা মানুষের সংস্পর্শে আসেন। মুখে মাস্ক থাকে, হাতেও সাবান দেন, কিন্তু মোবাইল ফোনে থাকা ভয়ানক ভাইরাস তো থেকেই যায় বললেন সন্দীপবাবু।

কী করব?

ভায়ারোলজিস্টদের মতে মোবাইল হল ‘হাই টাচ সারফেস’-এর অন্যতম উদাহরণ। ঠিক ভাবে পরিস্কার করা না হলে মোবাইল থেকেও সার্স কোভ-২ করোনাভাইরাসের কম্যিউনিটি ট্র্যান্সমিশনের ঝুঁকি খুব বেশি। এই ব্যাপারে সকলের সচেতন হওয়া উচিত। বাজার দোকান অথবা কাজের শেষে বাড়ি ফিরে সোজা বাথরুমে গিয়ে পোশাক পরিবর্তন করে হাত-মুখ সাবান দিয়ে পরিষ্কার তো করতে হবেই। তা ছাড়া ফোন বন্ধ করে নরম কাপড়ে স্যানিটাইজার বা কীটনাশক লোশন ভিজিয়ে তা দিয়ে ফোন পরিষ্কার করে নিতে হবে। স্যানিটাইজার দিয়ে মোবাইলের আগাপাশতলা মুছে নিয়ে অল্প সময় রোদে রেখে আসতে পারেন।

(আনন্দবাজার)
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর