× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনা সন্দেহে ভেড়ামারায় রিকশাচালকের লাশ দাফন

করোনা আপডেট

ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
৩০ মার্চ ২০২০, সোমবার
প্রতিকি ছবি

অচেনা এক পরিবেশ। কোথাও কেউ নেই। চারিদিকে সুনশান নিরবতা। ২ জন মুসল্লী আর একজন ইমাম। মাত্র ৩ জন মানুষের উপস্থিতিতে জানাযা নামাজ শেষে দাফন করা হলো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহের এক ব্যক্তিকে। আজ সোমবার সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে সর্দি, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে করোনা সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ করে আইইসিডিআর কর্তৃপক্ষ। এরপর প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী তাকে ভেড়ামারার ফারাকপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়।
দুপুর আড়াইটা। সূর্য তখন মাথার উপর।
ফারাকপুর গোরস্থানের শেষ সিমানায় এসে থামে সাদা রং এর একটি এ্যাম্বুলেন্স। ভেড়ামারা থানা পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম’র সদস্যরা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার পোশাক পড়ে আগে থেকেই প্রস্তুত। প্রস্তুত ছিল উপজেলা প্রশাসন। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে সরাসরি লাশ আনা হয় কবরস্থানে। আগেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে কবর স্থান। এম্বুল্যান্স কে সামনে রেখেই জানাযা নামাজ পড়ান চাচাত ভাই জিনারুল ইসলাম। মুসুল্লী মাত্র ২ জন। এরপর স্ট্রেচারে লাশ নেওয়া হয় কবরস্থানে।
ভেড়ামারা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম সিরাজ জানান, সুনশাস নিরবতার মধ্যে দিয়ে আইইসিডিআরের সকল নিয়ম কানুন মেনে লাশ দাফন করা হয়েছে। মৃত’র চাচাত ভাই জিনারুল ইসলাম জানাযা নামাজ পড়ান এবং তারাই দাফন প্রক্রিয়ায় সকল কাজ শেষ করেন।
মৃত আশরাফুল ইসলাম’র বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ফারাকপুর গ্রামে। সে দীর্ঘ ৭/৮ বছর ধরে কুষ্টিয়ার চৌড়হাস এলাকায় থাকেন। সে পেশায় ইজিবাইক চালক। আজ সকালে সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। এরপর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে সমস্ত প্রক্রিয়া সর্ম্পন্ন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নমুনা সংগ্রহ করে আইইসিডিআর। মৃত’র চিকিৎসায় থাকা ২ জন চিকিৎসক এবং নার্সদের পাঠানো হয় হোম কোয়ারিনটাইনে। লকডাউন করে দেওয়া হয় মৃত’র বাড়ি সহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি। এরপর কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে দাফনের জন্য সরাসরি পাঠানো হয় ভেড়ামারার ফারাকপুর গোরস্থানে। ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল মারুফের সার্বিক তত্বাবধায়নে সরকারের রোগতত্ত, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) নিয়মানুযায়ী তার দাফন সর্ম্পন্ন হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আখতারুজ্জামান মিঠু, ভেড়ামারা পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানা, ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা জালাল, পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর