× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গবেষণা বলছে, গন্ধ বা স্বাদের তারতম্য করোনা সংক্রমণের লক্ষ্মণ

বিশ্বজমিন

অনিম আরাফাত
(৪ বছর আগে) এপ্রিল ১, ২০২০, বুধবার, ১০:১২ পূর্বাহ্ন

হঠাৎ করেই গন্ধ বা স্বাদ না পাওয়া হতে পারে করোনা সংক্রমণের উপসর্গ। গবেষকরা বলছেন, যদি কারো সাত দিন ধরে গন্ধ ও স্বাদে তারতম্য দেখা যায় তাহলে তার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ব্যাপক আশঙ্কা রয়েছে। ব্রিটিশ ইএনটি বিশেষজ্ঞরা সারা পৃথিবীর নাক কান গলা বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট তুলে ধরে এ কথা বলেছেন। এ সম্পর্কিত প্রকাশিত তথ্য এখনও যথেষ্ট না হলেও এই চিকিৎসকরা বলছেন, সাবধান হবার সময় এসেছে। ব্রিটিশ রাইনোলজিক্যাল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ক্লেয়ার হপকিন্স এক ইমেলে লিখেছেন, কেউ যদি গন্ধের অনুভূতি হারিয়ে ফেলেন, তাহলে তার নিজেকে আইসোলেট করা উচিত। এটা সংক্রমণের চিহ্ন। এ ব্যাপারে আমরা সচেতনতা তৈরি করতে চাইছি। এতে সংক্রমণ কমবে এবং প্রাণ বাঁচবে।


ক্লেয়ার এবং ইএনটি ইউকে সংস্থার প্রেসিডেন্ট নির্মল কুমার এক যৌথ বিবৃতিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে আবেদন করেছেন, তাঁরা যদি স্বাদ বা গন্ধ হারিয়েছেন এমন কোনও রোগীর চিকিৎসা করেন, তাহলে যেন প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার করেন। হপকিন্স জানিয়েছেন, ব্রিটেনের দুজন নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং তাদের অবস্থা ভাল নয়। হপকিন্স আরো বলেন, চীনের উহান থেকে আগে যেসব রিপোর্ট এসেছিল তাতেও বলা হয়েছিল চোখ কান গলার বিশেষজ্ঞ ও চোখের চিকিৎসকরা বিশাল সংখ্যায় সংক্রমিত হচ্ছেন ও মারা যাচ্ছেন।

ব্রিটিশ চিকিৎসকরা অন্য দেশের রিপোর্টও উদ্ধৃত করেছেন। দেখা যাচ্ছে বড়সংখ্যক করোনাভাইরাস রোগীদের মধ্যে গন্ধ পাবার ক্ষমতাহীনতা দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায়, যেখানে ২০০০ রোগীর মধ্যে ৩০ শতাংশের বর্তমান উপসর্গ হল গন্ধ পাবার ক্ষমতা হারানো। এদিকে, আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ওটোল্যারিঞ্জোলজি রবিবার তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে গন্ধ বা স্বাদ পাবার অনুভূতি হ্রাসের ঘটনা কোভিড-১৯-এর সঙ্গে যুক্ত তাৎপর্যপূর্ণ উপসর্গ হতে পারে এবং দেখা গিয়েছে, অন্য কোনও উপসর্গহীন এ ধরনের ব্যক্তিদের পরীক্ষায় সংক্রমণের ইতিবাচক ফল মিলছে। অ্যালার্জি বা সাইনুসাইটিসের অনুপস্থিতিতে এ ধরনের উপসর্গের ক্ষেত্রে স্ক্রিনিংয়ের সময়ে চিকিৎসকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

নিউ ইয়র্কের নিউ রচেলের ডক্টর কায়ে প্রথমবার করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে গন্ধের অনুভূতিহীনতার যোগের কথা বলেন। তিনি বলেছিলেন যেসব রোগীরা এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের পরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ইতিবাচক ফল পাওয়া গিয়েছে। ইতালির চিকিৎসকরাও একই রকমের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয়ের হেনড্রিক স্ট্রিক সে দেশের হেইনসবার্গ জেলার বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনাভাইরাস রোগীদের তথ্য সংগ্রহ করছেন। তিনি বলেন, তাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ১০০ জনের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ গন্ধ ও স্বাদের অনুভূতিহীনতার কথা বলেছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর