× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গার্মেন্টসে ৬শ কোটি ডলারের ক্ষতি

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) এপ্রিল ২, ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক উৎপাদনকারী   বাংলাদেশ। বিশ্বের বৃহত্তম ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতাদের কয়েকজন করোনা পরিস্থিতিতে তাদের ক্রয় আদেশ বাতিল করার মধ্য দিয়ে চলতি অর্থবছরে দেশটি তার রফতানি আয় থেকে প্রায় ছয়শ কোটি ডলার ক্ষতিগ্রস্থ হতে চলেছে। মঙ্গলবার দুটি বড় পোশাক শিল্প সংস্থা এটা বলেছে।

দেশটির তৈরি পোশাক ও নিটওয়্যার নির্মাতাদের সংখ্যাগরিষ্ঠদের প্রতিনিধিত্বকারী এই দুটি গ্রুপ বলেছে যে, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস চালিত লকডাউনগুলির মধ্যে প্রতিদিনই ক্রয় আদেশ বাতিলের পরিমাণ বাড়ছে। আর এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ার দরিদ্র দেশটিতে লক্ষ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান ঝুঁকিতে পড়েছে।

স্বল্প মজুরি বাংলাদেশকে পোশাক শিল্প তৈরিতে সহায়তা করেছে। প্রায় ৪,০০০ কারখানায় ৪০ লাখ শ্রমিক নিযুক্ত করেছে।

গার্মেন্টস রফতানি ৩৪ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার বা দেশের মোট রফতানির ৮৪ শতাংশ। ২০১৯ সালের ৩০ জুনে দেশটির সার্বিক রপ্তানি পরিমাণ ছিল ৪০ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, "সঙ্কটের কারণে আমরা ৩ শ কোটি ডলারেরও বেশি হারিয়েছি। আগামী জুলাই অবধি আমাদের সমস্ত আদেশ বাতিল বা স্থগিত করা হয়েছে।"

"স্থগিত আদেশগুলি অবশেষে বাতিল হয়ে যাবে। এই সমস্ত ক্রয় আদেশগুলো গ্রীষ্মের জন্য দেওয়া হয়েছিল এবং এগুলি সরবরাহ করতে তিন মাস সময় লাগে।
এখন যদি তারা এর সরবরাহ না নেয়, তাহলে গ্রীষ্ম শেষ হওয়ার পরে তারা তা আর গ্রহণ করবে না," হাতেম বলেছেন। তার কথায়, ‌‌'' ক্রেতারা এখন একটি ‌‌''অপেক্ষা এবং দেখার নীতি'' গ্রহণ করেছে এবং নতুন অর্ডার দেওয়া থেকে একদম বিরত রয়েছে।

"এই ধারা অব্যাহত থাকলে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে," মন্তব্য করেছেন জনাব হাতেম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি শিল্প সূত্র জানিয়েছে, ক্রয় আদেশ বাতিলকারী ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে গ্যাপ, জারা এবং প্রাইমার্ক অন্যতম।

গ্যাপ এবং জারার কাছে মন্তব্য চেয়ে পাঠানো ইমেলগুলিতে সাড়া দেয়নি। কিন্তু প্রাইমার্ক পদক্ষেপটি নিশ্চিত করেছে।

বিশ্বব্যাপী সমস্ত প্রাইমার্ক স্টোর বন্ধ রয়েছে এবং ব্র্যান্ডটি এক মাসে ৮০৭ দশমিক ৮২ মিলিয়ন ডলারেরর বিক্রি হারাচ্ছে, প্রাইমার্ক এক বিবৃতিতে বলেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, "আমাদের স্টোর, আমাদের ডিপো এবং ট্রানজিটে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান স্টক রয়েছে। এসবের জন্য আমরা পরিশোধ করেছি।''

"আমরা যদি এই পদক্ষেপ (বাংলাদেশে বাতিল করা) না নিই, তাহলে আমাদের স্টকই নেয়া হবে, অথচ আমরা তা বিক্রি করতে পারব না"।

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি রুবানা হকও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তৈরি পোশাক পোশাক প্রস্তুতকারীরা।

মিজ হক বলেন, বিজিএমইএভুক্ত এমন প্রায় ১,০৪৮ টি কারখানা জানিয়েছে যে, তারা দুশ কোটি ডলার মূল্যের ৯০০ মিলিয়নেরও বেশি পোশাকের অর্ডার ইতিমধ্যে বাতিল করা বা স্থগিত রাখা হয়েছে।

মিজ হক বলেন, আদেশ বাতিলকরণের ফলে তৈরি পোশাক খাতের প্রায় ২০ লাখ শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি দেশের গুরুত্বপূর্ণ রফতানি খাতের জন্য একটি ৫৮৮ মিলিয়ন ডলারের একটি প্যাকেজ উন্মোচন করেছেন। এর আওতায় গার্মেন্টসগুলোকে শ্রমিকদের জন্য এই অর্থ ধরে রাখার জন্য বলেছে।

বিজিএমইএর পরিচালক রেজওয়ান সেলিম বলেছেন, "এই পরিমাণ অর্থ যথেষ্ট নয়। দেশের বৃহত্তম রফতানি খাতকে বাঁচাতে সরকারের আরও উদ্দীপনামুলক প্রস্তাব নিয়ে আসা উচিত।"

শীর্ষস্থানীয় রফতানিকারক সিদ্দিকুর রহমান, তিনি অন্যদের মধ্যে ওয়ালমার্ট এবং এইজ এন্ড এমকে সরবরাহ দিয়ে থাকেন, তিনি জানান, পরিস্থিতি ভয়াবহ।

"আমরা একটি অভূতপূর্ব সময়ের মুখোমুখি হয়েছি," তিনি বলেছিলেন। "এটি কত দিন নিচ্ছে তা কেউ জানে না । আমরা আমাদের কারখানাগুলি বন্ধ না করার জন্য কঠোর চেষ্টা করছি । তবে আমরা আর কতক্ষণ ধরে রাখতে পারি?"
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর