করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবার অবস্থান এখন ঘরে । বাইরে সুনসান নিরবতা। ফলে খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষগুলো পড়েছে বিপদে। তাদের নেই আয় কোনো আয় রোজগার। অার এমন সময়ে তাদের পাশে এসে দাড়িয়েছে ফরিদপুরের খাইরুল ইসলাম রোমান। নিজে একটি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন, কারো যদি খাবার সামগ্রি প্রয়োজন হয় অথবা আশেপাশের কেউ যদি দরিদ্র থাকে তাকে যেনো ফোন দেয়া হয়। ফোন দিলেই চলে যাবে খাবার সামগ্রী। এমন পোস্ট দেয়ার পরে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার শেয়ার হয় পোস্টটি।
অসংখ্য দরিদ্র মানুষ ও অন্যান্যরা দিতে থাকে ফোন। তার পরই পৌছে যায় রোমানের খাবার সামগ্রী। গত কয়েকদিনে তার নেতেৃত্বে ৫০০ অসহায় দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসরত পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন।
দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন শুরু হাবার পরপরই তিনি রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি ইয়াছিন কলেজে লিফলেট বিতরন করেছিলেন। এরপরে যখন দেশে কার্যরত লকডাউন শুরু হয় তখন তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকে স্ট্যাটাসটি দিয়েছিলেন।যেখানে তিনি তার ব্যক্তিগত ফোন নাম্বারটি ব্যবহার করেন। সেই মোবাইলে আসা তথ্যের ভিত্তিতে তিনি সবার দ্বারে দ্বারে গিয়ে খাবার পৌছে দিয়ে আসেন।এভাবে তিনি ফরিদপুর শহরের আনাচে কানাচে এবং ফরিদপুর সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে অসহায় দারিদ্র পরিবারের নিকট খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়ে আসেন নিজ দায়িত্বে। তার খাবারসামগ্রীর মধ্যে ৫ কেজি চাল,১ কেজি আলু,১ কেজি পেয়াজ, ১ কেজি লবন,৫০০ গ্রাম সয়াবিন তেল,৫০০ গ্রাম ডাল, ১ টা সাবান এবং একটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
খাইরুল ইসলাম রোমান বলেন,যদিও আমাদের কাছে পরিমানটা সামান্য তবে আহসায় পরিবারের জন্য এটাও অনেক কিছু। গণহারে বা রাস্তায় আমরা এসব সামগ্রী বিলি করিনি। যারা প্রকৃতপক্ষে পাবার যোগ্য তাদের খোঁজে খোঁজে আমরা খাবার সামগ্রী পৌছে দিয়েছি। আমরা একদল তরুণ এই কাজটি করেছি। আমাদের টিমে থাকা সদস্যের নাম সান্ত খান,ইমন শেক,সজিব ইসলাম,বাহারুল ইসলাম রবিন,শেখ কামরুল হাসান,জসিফ খান রক্তিম,হাসান মুন্না,ইফাত হাসান,শিপন শেখ পাইলট