× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নবীগঞ্জে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

বাংলারজমিন

এম এ বাছিত, নবীগঞ্জ থেকে
৩ এপ্রিল ২০২০, শুক্রবার

নবীগঞ্জে তিন সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুনকে প্রধান আসামি করে নবীগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় সাংবাদিক এম মুজিবুর রহমান ওই মামলা দায়ের করেন। মামলায় আরও ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এঘটনায় খালেদ নামের এক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নে নিম্ন আয়ের মানুষকে সরকারি ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের সংবাদ প্রচার করায় সাংবাদিক শাহ সুলতান আহমেদসহ ৩ সাংবাদিককে মারধর করেন আউশকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন। এনিয়ে সর্বত্র তোলপার চলছে। আহত সাংবাদিক শাহসুলতানকে হাসপাতালে দেখতে যান স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহ নওয়াজ মিলাদগাজী,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল,থানার ওসি মোঃ আজিজুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এঘটনায় জরুরী সভার আয়োজন করে নবীগগঞ্জ প্রেসক্লাব।
আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাব সভাপতি সরওয়ার শিকদার। সাধারন সম্পাদক আলমগীর মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সন্ত্রাসী হামলার নায়ক চেয়ারম্যান হারুন ও তার সহযোগীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। মামলা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আউশকান্দি ইউনিয়নে নিম্ন আয়ের মানুষদের ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান তাদের দেন ৫ কেজি করে। এ নিয়ে গত ৩০ মার্চ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘আসুন অসহায় দিনমজুরদের মনের কথা শুনি’ শিরোনামে এক লাইভে সাধারণ মানুষের বক্তব্যসহ অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরেন সাংবাদিক শাহ সুলতান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত বুধবার বিকেলে ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে দেশীয় অস্ত্র সহকারে আউশকান্দি বাজারে শাহ সুলতান আহমেদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন নিজেই ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন সুলতানকে। এ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করতে গেলে সাংবাদিক এম মুজিবুর রহমান ও বুলবুল আহমেদকেও মারধর করে সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয় লোকজন শাহ সুলতানকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সাংবাদিক মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুনকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এ নিয়ে থানার ওসি মোঃ আজিজুর রহমান বলেন, হামলাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
নবীগঞ্জ প্রেক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়া বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দ্রুত আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর