× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সৌদি ফেরত মেয়েই কাল হলো বাবার, ৬ বাড়ি লকডাউন

করোনা আপডেট

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
৪ এপ্রিল ২০২০, শনিবার

শাশুড়িকে নিয়ে পবিত্র ওমরা হজ্ব পালন শেষে গত ১২ মার্চ সৌদি আরব থেকে ফিরেছিলেন চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির মেয়ে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাদের তিনি নিয়ে আসেন বাসায়।

সেখানে হোম কোয়ারেন্টাইন না মানায় করোনায় সংক্রমিত হলেন ৬৭ বছর বয়সী ওই বাবা। শনিবার সকালে এমন তথ্যই দিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি মিয়া। তিনি বলেন, ওই মেয়ের কারণে শুধু বাবা আক্রান্ত হলো তা নয়, মা ও তার দুই ছেলেও রয়েছে ঝুঁকিতে। এমনকি তার আশপাশের অনেকেই বিপদে আছেন।

যার ফলে ওই মেয়ের বাসাসহ আশপাশের ৬ বাড়ি লকডাউন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। আক্রান্ত ব্যক্তি করোনা শনাক্ত হওয়ার আগে নগরীর বেসরকারি ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ায় ওই হাসপাতালের ৩ চিকিৎসকসহ ১৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

সেখ ফজলে রাব্বি মিয়া জানান, আক্রান্ত ব্যক্তি তার মেয়ে ও মেয়ের শাশুড়িকে গত ১২ মার্চ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রিসিভ করে নগরীর দামপাড়ার ১ নং গলিতে ন্যাশনাল হাসপাতালের পেছনের বাসায় নিয়ে আসেন।


মেয়ে (৩২) তার ১২ ও ৭ বছরের দুই ছেলে ও বাবা-মাকে নিয়ে দামপাড়ার বাসায় থাকেন। স্বামী থাকেন সৌদি আরবের মদিনায়। স্বামীই তার মা ও স্ত্রীকে ওমরা করতে ১১ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরব নিয়ে যান। বাসায় ফিরে সেদিন খাওয়া-দাওয়া করে শাশুড়ি সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া, পুরানগড়ের বাড়িতে চলে যান।

মেয়ের শাশুড়ি সাতকানিয়ায় ফেরার পর প্রশাসনের তৎপরতায় ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। কিন্তু শহরে অবস্থানরত মেয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন মানেনি একেবারেই। ফলে যা হবার তাই হয়েছে। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার অসুস্থ হয়ে পড়েন মেয়ের বাবা। তাকে প্রথমে ভর্তি করা হয় নগরীর বেসরকারি ন্যাশনাল হাসপাতালে।

সেখান থেকে শুক্রবার সকালে ভর্তি করা চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে নমুনা সংগ্রহের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় মেয়ের বাবা করোনা-আক্রান্ত বলে তথ্য দেন চট্টগ্রামের একমাত্র করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র বিআইটিআইডি হাসপাতাল। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠানো হয়।

আর দামপাড়ার ওই বাড়িটিসহ আশপাশের ৬টি বাড়ি শুক্রবার রাতে লকডাউন করে জেলা প্রশাসন। একই সাথে ন্যাশনাল হাসপাতালের ৩ জন চিকিৎসকসহ ১৮ জনকে পাঠানো হয় হোম কোয়ারেন্টাইনে। এছাড়া ওই মেয়ের সাতকানিয়ার শ্বশুরবাড়িও লকডাউন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর এ আলম।


তিনি বলেন, সৌদি আরব থেকে ফেরার পর অন্যান্য প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার প্রক্রিয়ায় মেয়ের শাশুড়িকেও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। ইতোমধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষও হয়েছে। এরপরও ওই নারী ও তার আশপাশের বাড়িগুলোকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর