কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও গরু চুরি থেমে নেই। গত তিনদিনে উপজেলার পৃথক দুটি এলাকা থেকে তিনটি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় জনতা এসব চোরাই গরু উদ্ধার করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার ও আজ শনিবার উপজেলার কুমড়ী ও মুনিয়ারীকান্দা গ্রাম থেকে এসব গরু উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার সকালে উপজেলার মুনিয়ারীকান্দা এলাকার একটি আম বাগান থেকে দুটি চোরাই গরু উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী পাগলা থানার বাঁশিয়া গ্রামের মৃত শাহজাহানের স্ত্রী পারুল আক্তার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গরু দুটি তার বলে শনাক্ত করেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে গরু দুটি চুরি হয়েছে বলে জানান তিনি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ।
এদিকে গত বুধবার রাতে উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের মঞ্জু মিয়ার গোয়ালঘর থেকে একটি গরু চুরি হয়। পরের দিন পাশের কুমড়ী গ্রামের মকুল মিয়ার বাড়ি থেকে একটি চোরাই গরু আটক করে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে মঞ্জু মিয়া ওই বাড়িতে গিয়ে গরুটি তাঁর বলে শনাক্ত করেন।
এসময় এলাকাবাসীর চাপে মকুল মিয়া গরু চুরির বিষয়টি স্বীকার করে মাছিমপুর গ্রামের আরও দুজন জড়িত বলে জানায়। খবর পেয়ে আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গরুটি তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মঞ্জু মিয়া বাদী হয়ে মকুল সহ মাছিমপুরের দুজনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. মফিজুর রহমান তিনটি গরু উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গরু মালিককে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ দিয়ে গরু বুঝে নেওয়ার জন্য বলে দেওয়া আছে।