× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রংপুরে করোনা সন্দেহে ৮ বাড়ি লকডাউন

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে
৪ এপ্রিল ২০২০, শনিবার

রংপুরে ৮টি বাড়িকে লকডাউন করেছে প্রশাসন।  এ ঘটনা ঘটেছে সদর উপজেলার সদ্যপুস্করনী ইউনিয়নের জানকিরহাট নয়াপাড়া এলাকায়।  করোনা   ভাইরাসে   আক্রান্ত   ব্যক্তির সংস্পর্শে   আসায়     শনিবার   বেলা   ১২টায়   প্রশাসন   ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ওই বাড়িগুলোর সামনে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দেয়। এরপর থেকে করোনা আতংঙ্কে ওই সড়কে মানুষ ও যান চলাচল সীমিত হয়েছে। সেই সাথে এলাকার দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। সদর   উপজেলা   প্রশাসন ও এলাকাবাসীর  সূত্রে  জানা যায়,   নয়াপাড়া গ্রামের  বাসিন্দা এক শ্রমিক অসুস্থ্য হলে তিনি নিজ বাড়িতে আসার   উদ্দেশ্যে   ঢাকা   থেকে   রওনা  দেন।   পরে   তার   অবস্থার  অবনতি   হলে তিনি বগুড়ায় নেমে যান। সেখানে বউ ও মেয়ের জামাই ওই ব্যক্তির সাথে দেখা করতে যান। তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় নেয়া হয়।সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত বলে নিশ্চিত হন চিকিৎসকরা। এরপর করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মেয়ে জামাই নয়াপাড়ায় ৩মার্চ আসলে প্রশাসন খবর পেয়ে শনিবার ওই এলাকা পরিদর্শন করেন।আক্রান্ত ব্যক্তির মেয়ে জামাই যে সকল মানুষের সাথে মিশেছেন ওই সব বাড়িকে লকডাউন করে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দেয় প্রশাসন।লক  ডাউন  হওয়ায়   এক  পরিবারের  সদস্য    সেলিনা  খাতুন   (৫০)  বলেন,শুনেছি আমাদের এলাকার একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওই ব্যক্তির বউও জামাই তার সাথে দেখা করতে গিয়েছিল বগুড়ায়।
পরে মেয়ে জামাই এলাকায় এসে আমাদের সাথে মেলামেশা করছে। যেহেতু আমাদের পাশে বাড়ির একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে তাই প্রশাসন এসে আমাদের বাড়ি থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। লক ডাউন হওয়া অপর পরিবারের সদস্য রাশেদুল ইসলাম (২৩) বলেন, আমরা দিন   আনি   দিন   খাই।   ঘর   থেকে   বের   না   হলে   আমরা   খাবো   কি।প্রশাসনকে   বলেছি   খাবারের   কথা,   তারা   বলেছে   ইউনিয়ন   চেয়ারম্যান মেম্বারদের সাথে যোগাযোগ করতে। আমরা ঘর থেকে বের হচ্ছি না। এলাকার আনিছা বেগম (৬১) বলেন, আমাদের এলাকায় ৮ জনের বাড়ির লোকজনদের বাড়ি থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দিয়ে গেছে প্রশাসন।এদের পাহারা দেওয়ার জন্য গ্রাম পুলিশকে দায়িত্ব দিলেও তারা থাকছেনা। গ্রাম পুলিশ বলে গেছে ওইসব বাড়ির লোকজন ঘর থেকে বের হলেতাদের খবর দিতে। আমরা নিজেরাই বাড়ির ভেতরে থাকি। কিভাবে গ্রাম পুলিশদের খবর দেব। আমাদের দাবী ওই ৮ বাড়ির লোকজন যেন ঘর থেকে বেরনা হয় সেজন্য পুলিশ মোতায়েন করা হোক। এ ব্যাপারে রংপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নাসিমা জামান ববি বলেন,আক্রান্ত  ব্যক্তি   ঢাকায়   শ্রমজীবি   ছিলেন।   তিনি  অসুস্থ্য   হলে  ঢাকাথেকে   রংপুর  আসার   পথে   বগুড়ায়  নেমে  যান।  সেখানে   ওই   ব্যক্তির   মেয়ে জামাই   ও   বউ   দেখা   করতে   যায়।   মেয়ে   জামাই   রংপুরে   আসলে   উপজেলা প্রশাসন ও সেনা বাহিনীর সদস্যরা সরেজমিন পরিদর্শন করে ওই এলাকার ৮টি বাড়ি লকডাউন করে। লকডাউন করা পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়ারকথা জানান তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর