× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সাময়িক বন্ধ ঘোষণা

করোনা আপডেট

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
৭ এপ্রিল ২০২০, মঙ্গলবার

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে নারায়ণগঞ্জের দেড়শ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া) জরুরী বিভাগ সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা সিভিল সার্জন। সোমবার রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ।
তিনি জানিয়েছেন, বন্দরে করোনা আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে মারা গেছেন শিউলী ওরফে পুতুল নামে এক নারী। তিনি এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। যার কারণে একটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে এটিকে সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আরও বলেন, আমরা পুরো জেনারেল হাসপাতালকে জীবাণুনাশন দিয়ে ধুয়ে মুছে তারপর আবার চালু করবো। যে কদিন সেটা সম্ভব না হয় ওই কদিন জরুরী বিভাগ বন্ধ থাকবে। তবে বর্হিবিভাগ চালু থাকবে সীমিত পরিসরে।
এদিকে কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী রোগীরা। কারণ সারা শহরময় যানবাহন বা রিকশা চলাচলও বন্ধ থাকায় ওই হাসপাতাল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরত্বে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে পায়ে হেঁটে গিয়েছিলেন রোগীরা।

হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত- এমন প্রশ্নে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানিয়েছেন, বন্দরে করোনায় মৃত্যু হওয়া নারীর চিকিৎসা করা ডাক্তার, নার্স ও ওয়ার্ডবয়সহ কয়েকজনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। তাই জরুরি বিভাগ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে। ২-৪ দিনের মধ্যে আবার জরুরি বিভাগ খুলে দেয়া হবে।
অন্যদিকে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আসাদুজ্জামান বলেন, নারায়ণগঞ্জের বন্দরের রসুলবাগ এলাকায় এক নারী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মারা যাওয়ার আগে ওই নারীকে ১০০ শয্যা হাসপাতালে আনা হয় প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য।
এ ছাড়া পরবর্তী সময় আরও দুজন আক্রান্ত রোগী রোগ গোপন করে ১০০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। এসব কারণে জরুরি বিভাগের কয়েকজনকে এর আগেই হোম কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়। তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
সোমবার পাওয়া রিপোর্টে নার্স ও ওয়ার্ডবয়সহ তিনজনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। ওই তিনজনকে ইতিমধ্যে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। সে কারণেই আপাতত জরুরি বিভাগ বন্ধ রাখা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার জরুরি বিভাগ জীবাণুমুক্ত করা হবে।
ওদিকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেবা নিতে রোগীরা। তারা জানান, বন্দরে করোনা আক্রান্ত নারী ৩০ মাচ মারা যায়। তবে গত ২ এপ্রিল জানা গিয়েছিল তার করোনাভাইরাস পজিটিভ। এর ৪-৫ দিন আগে তিনি জেনারেল হাসপাতালে এসেছিলেন। ৩ এপ্রিল ওই নারীকে চিকিৎসা দেয়া ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ডবয়সহ ১০ জনকে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে। তা হলে গত ৪ দিন বা ওই নারী চিকিৎসা নিতে আসা সময় ধরলে গত ৮ দিনে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা অবশ্যই ছিল। শুধু এই পরিচ্ছন্ন করার সিদ্ধান্ত নিতেই সিভিল সার্জন ৪ দিন সময় লাগালেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর