× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

লকডাউনে দাম্পত্য অন্তরঙ্গতা, গর্ভনিরোধকের চাহিদা বৃদ্ধি

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) এপ্রিল ৭, ২০২০, মঙ্গলবার, ১:৪১ পূর্বাহ্ন

লকডাউনের দিনগুলিতে দাম্পত্য অন্তরঙ্গতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটাই স্বাভাবিক বলে জানাচ্ছেন মনোবিদরা। তাদের মতে, লকডাউনে যাদের মানসিক চাপ কমেছে এবং যাদের মানসিক চাপ বেড়েছে- দুই দিকের মানুষই যৌনতার আশ্রয় নিচ্ছেন। মনোবিদদের ব্যাখ্যা এখনকার ব্যস্ত জীবনে নারী-পুরুষের অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর সুযোগের বড় অভাব। কিন্তু লকডাউন অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল মানুষজনের সামনে অন্তরঙ্গ হওয়ার অফুরন্ত সুযোগ নিয়ে এসেছে। অন্যদিকে করোনা ভীতির কারণে সব সময়ে যে মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে, তা থেকে মুক্তি পেতেও অনেকে যৌনতার আশ্রয় নিচ্ছেন। এই মনোভাবের স্পষ্ট প্রতিফলন ঘটেছে গর্ভনিরোধকের বাজারে। কলকাতার বাগড়ি মার্কেটে ওষুধের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লকডাউনে বিক্রি বেড়ে গিয়েছে গর্ভনিরোধকের।
পাশাপাশি শহর থেকে গ্রাম-মফঃসল, স্টকিস্ট থেকে ওষুধের দোকানে খুচরো বিক্রি, সব ক্ষেত্রে গর্ভনিরোধের চাহিদা তুঙ্গে। উত্তর ২৪ পরগণার শহরতলীর এক ওষুধের দোকান মালিক জানিয়েছেন, দোকানে যতরকমের গর্ভনিরোধক মজুত ছিল, তা লকডাউনের কয়েকদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন প্রতিদিনই মানুষ এসে চাইছেন কনডম থেকে মহিলাদের পিল পর্যন্ত। এক ওষুধ ডিস্ট্রিবিউটরের কথায়, স্টক যে এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে কল্পনাও করিনি। এখন জোগানও আসছে না। তিনি জানিয়েছেন, অন্য জিনিসের মতো কনডোমও বেশি বেশি করে কিনে নিয়ে অনেকেই স্টক করে রেখেছেন। কলকাতার এক ওষুধের দোকান সূত্রে জানা গেছে, কনডোমের চাহিদা হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে। ফলে যোগানের সংকট তৈরি হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, নারীরা অবশ্য গর্ভনিরোধক পিল নিতেই বেশি এসেছেন। আর পুরুষরা চাইছেন কনডম। এই সুযোগে কালোবাজারিও শুরু হয়েছে। জেলা শহরগুলিতেও একই অবস্থা। নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের এক ওষুধ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, গর্ভনিরোধক পিল ও ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল বিক্রি প্রায় তিন গুণ বেড়ে গিয়েছে। তবে চাহিদা বেশি কনডোমেরই। গ্রামের দিকে ছোট ছোট দোকানে বিক্রি হয় গর্ভনিরোধক। সেই সব দোকানে যা মজুত ছিল তা কয়েকদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। লকডাউন চলায় নতুন করে যোগানও আসছে না। ফলে হাহাকার তৈরি হয়েছে। এর কারণ সম্পর্কে একজন স্বাস্থ্যকর্মী বলেছেন, লকডাউনের আগে-পরে অন্য রাজ্য বা জেলায় কাজ করা বহু মানুষ ঘরে ফিরেছেন। জেলা শহরে ও গ্রামে গর্ভনিরোধক বিক্রি বাড়ার এটা একটা বড় কারণ। সেইসঙ্গে তিনি একটি আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গর্ভনিরোধকের অভাবে মানুষ অরক্ষিত যৌনতায় লিপ্ত থাকায় আগামী দিনে জনসংখ্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হতে পারে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর