× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বর্তমানে মসজিদে না যাওয়া শরিয়ত সম্মত

অনলাইন

মরিয়ম চম্পা
(৪ বছর আগে) এপ্রিল ৭, ২০২০, মঙ্গলবার, ২:৪৩ পূর্বাহ্ন

করোনার এই সময়টাতে মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামাজ পড়া বা মসজিদে না আসতে পারাটা অপরাধ নয় বরং এই সময় এটাই হুকুম। এমনটিই মনে করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান। মানবজমিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এখানে মূলত দুটি বিষয় আমাদের জানা উচিত। প্রথমত, রাষ্ট্রীয়ভাবে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এটা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এবং দেশের মানুষের কল্যাণে নির্দেশটা দেয়া হয়েছে। বর্তমান যে পরিস্তিতি চলছে এ পরিস্তিতিতে এ ধরনের একটি নিয়মের মধ্যে চলা, সতর্কতার মধ্যে চলা এটাই ইসলামের শিক্ষা। এবং সতর্কতার জন্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার যে নির্দেশনা আছে সেটাকে সামনে রেখেই চলাচলটা যেন বেশি না হয়। জমায়েতটা যেন না হয় সে জন্য মূলত এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এবং এটা শরিয়ত সম্মত।
শরিয়তের ভিক্তিতেই এটা করা হয়েছে। এখন যারা এই আদেশ মানছেন না তাদের প্রতি আমাদের যেটা অনুরোধ থাকবে   গ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন মসজিদের যারা ইমাম, আলেম-ওলামা আছেন তাদের কাছে আমরা অনুরোধ করবো তারা যেন বিষয়টি সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে বলেন। করোনার যে পরিস্থিতির মুখোমুখি আমরা এই পরিস্থিতে এটাই শরিয়তের নির্দেশ। এবং এটা সবার জন্য পালনিয়। নিজেদেরকে সতর্কতা অবলম্বনের অংশ হিসেবে এটা করা হয়েছে। অতএব মসজিদে না আসতে পারাটা কোনো অপরাধ নয়। বরং এই সময় এটাই হুকুম। এটা যেন আলেমগণ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে বুঝিয়ে বলেন। আলেমদের কাছে আমরা এই অনুরোধ রাখবো। এবং সবাই যদি যে যার স্থান থেকে ওলামা ও আলেমরা সাধারণ মানুষকে ব্যাপারটি বুঝিয়ে বলেন তাহলে সবাই খুব সহজেই বুঝবে। এবং বিশ্বাস করি যে সবাই মেনে চলবে। জামায়াতে ওয়াক্ত নামাজে পাঁচজন এবং জুমা নামাজে ১০ জন নামাজ আদায় সম্পর্কে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনায় স্পস্টভাবে উল্লেখ আছে পাঁচ ব্যক্তি হচ্ছে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেম। তাদের মধ্যে থেকেই পাঁচজন। এবং জুমা নামাজের ক্ষত্রে সর্বোচ্চ দশজনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এমন নয় যে দশজন পূর্ণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে একটি বিষয় স্পস্ট হওয়া উচিৎ। দশজন বলতে যদি কেউ মনে করে মহল্লা থেকে দশ ব্যক্তিকে ডেকে আনা হবে সেক্ষত্রে যে সমস্যার জন্য এটা করা হচ্ছে সেই আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।  মসজিদের ভেতরে মসজিদের খেদমতে যারা নিয়জিত তাদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা প্রযোজ্য। মসজিদের ভেতরে যদি দশজন হয় হবে। যদি কম হয় তাতেও সমস্যা নেই। কারণ জুমায় যদি দশজনের কমও হয় তবু জুমা আদায় হয়ে যাবে। কাজেই মসজিদের ভেতরে যারা আছেন তাদের মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ দশজন। বিষয়টি এ জন্য যাতে এটা কেউ না মনে করে বা বাস্তবে এটা না হয় যে মসজিদ বন্ধ হয়ে গেছে। এখানে মসজিদ বন্ধ করা উদ্দেশ্য নয়। এখানে সীমিত করা হলো উদ্দেশ্য। এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটা এখানে উদ্দেশ্য। অতএব মসজিদ বন্ধ নয় বরং সীমিত সংখ্যক মানুষ যেন থাকে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর