× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল থেকেও ২ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন রপ্তানিকারকরা

অনলাইন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(৪ বছর আগে) এপ্রিল ৭, ২০২০, মঙ্গলবার, ৩:৪৩ পূর্বাহ্ন

করোনা ভাইরাসে অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সপোর্ট ডেভলপমেন্ট ফাণ্ডের (রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল বা ইডিএফ) আকার বাড়িয়ে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একইসঙ্গে ঋণের সুদহারও কমানো হয়েছে। ফলে এখন থেকে এ তহবিল থেকে মাত্র দুই শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন রপ্তানিকারকরা।

আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে। করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা বাড়ানো এবং রপ্তানিকারকদের সহযোগিতা করতে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্যাকেজের আওতায় এ সুবিধা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, ২০১৭ সালের নির্দেশনা অনুযায়ী, এক্সপোর্ট ডেভলপমেন্ট ফাণ্ড (ইডিএফ) এর ঋণের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুদের হার ছিল লাইবর +১ শতাংশ। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের কাছ থেকে লাইবর (লন্ডনের আন্তঃব্যাংক অফার রেট) +২ দশমিক ৫০ শতাংশ মুনাফা রাখতো ব্যাংকগুলো। তবে ২০১৯ সালে এই সুদহার পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
চলতি বছরের জুন পর্যন্ত গ্রাহক পর্যায় থেকে ইডিএফের সুদের হার নির্ধারণ করা হয় লাইবর +১ দশমিক ৫ শতাংশ।

করোনা ভাইরাসের কারণে ফাণ্ডের আকার ও সুদহারে পরিবর্তন এনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ইডিএফের আকার ৩.৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হয়েছে। পাশাপাশি কমানো হয়েছে সুদের হার। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত ইডিএফের ঋণের বিপরীতে লাইবর +১ শতাংশ সুদ রাখবে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত ব্যাংকের এডি শাখাগুলো গ্রাহক পর্যায় থেকে ২ শতাংশ মুনাফা করতে পারবে।

এর আগে গত ৫ই এপ্রিল করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় ৫টি প্যাকেজের আওতায় মোট ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। যা জিডিপির ২.৫২ শতাংশ। এর মধ্যে অন্যতম ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সপোর্ট ডেভলপমেন্ট ফাণ্ডের (ইডিএফ) সুবিধা বাড়ানো। প্যাকেজ-৩ ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাক টু ব্যাক এলসির আওতায় কাঁচামাল আমদানি সুবিধা বাড়াতে ইডিএফের বর্তমান আকার ৩.৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে। এর ফলে ১.৫ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অতিরিক্ত ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ইডিএফ তহবিলে যুক্ত হবে। ইডিএফের বর্তমান সুদের হার লাইবর + ১ দশমিক ৫ শতাংশ (যা প্রকৃতপক্ষে ২.৭৩ শতাংশ) থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্যাকেজগুলোর মধ্যে রয়েছে, প্যাকেজ-১: ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার ঋণ সুবিধা, প্যাকেজ-২: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধা প্রদান, প্যাকেজ-৩: বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবর্তিত এক্সপোর্ট ডেভলপমেন্ট ফান্ডের (ইডিএফ) সুবিধা বাড়ানো এবং প্যাকেজ-৪: প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট রিফাইন্যান্স স্কিম' নামে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার একটি নতুন তহবিল চালু করবে, যেখান থেকে ৭ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়া হবে।

এর আগে গত ২৫ই মার্চ প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজে ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর