× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনা মোকাবেলায় চিকিৎসক হলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন

তারিক চয়ন
(৪ বছর আগে) এপ্রিল ৭, ২০২০, মঙ্গলবার, ৪:০৪ পূর্বাহ্ন

হ্যা। ভুল পড়ছেন না। গতকাল বাংলাদেশে 'টক অব দ্য কান্ট্রি' যখন ছিল 'ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে করোনার ভয়ে তাকে কোনো হাসপাতাল চিকিৎসা না দেয়ায়', তখনই খবর এলোঃ

আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার করোনাভাইরাস সংকটে নিজ দেশের মানুষকে সাহায্য করার জন্য চিকিৎসক হিসেবে পুনঃনিবন্ধন করেছেন।

শুধু তাই নয়। এ কাজের জন্য প্রাক্তন চিকিৎসক লিও ভারাদকার প্রতি সপ্তাহে এক শিফটে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হতে সাময়িক বিরতিও নেবেন!

রাজনীতিবিদ হওয়ার জন্য ডাক্তারি পেশা ছাড়ার আগে ভারাদকার সাত বছর একজন চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছিলেন। ২০১৩ সালে তার নাম চিকিৎসক হিসেবে নিবন্ধিত তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

করোনা সংকটের পর তিনি তার যোগ্যতার সাথে মানানসই একটি অঞ্চলে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে দেশের স্বাস্থ্যসেবায় কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করে মার্চ মাসে পুনরায় চিকিৎসক হিসেবে নিজের নাম নিবন্ধন করেছেন।

এমন সিদ্ধান্তে তাকে বাহবা দিচ্ছেন আয়ারল্যান্ডের মানুষ। সবাই বলছেন একেই বলে নেতা, একেই বলে প্রধানমন্ত্রী। যিনি যুদ্ধের ময়দানে ভয়ে পালিয়ে না থেকে সামনে থেকে শত্রুর মোকাবেলা করেন।

মার্চ মাসে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবকে সামলানোর জন্য দেশের নাজুক স্বাস্থ্যসেবাকে চাঙ্গা করতে একটি নিয়োগ অভিযান শুরু করেছিলেন, যার নাম "আপনাকে আপনার দেশের প্রয়োজন"।

এতে ৭০,০০০ মানুষ সাড়া দেয়। স্বাস্থ্যবিভাগ জানিয়েছে, এরপর হাজার হাজার প্রাক্তন স্বাস্থ্যসেবা পেশাজীবীদের সাথে কথা হয়েছে যারা আবারও নিবন্ধন করে দেশকে সেবা দিতে পারেন।


উল্লেখ্য ভারাদকার এমন একটি পরিবার থেকে উঠে এসেছেন যে পরিবারের অনেক সদস্যই চিকিৎসক। তিনি একজন চিকিৎসক এবং নার্সের ছেলে। তার সঙ্গিনী , দুই বোন এবং তাদের স্বামীরা সবাই স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করেন।

আয়ারল্যান্ডে প্রায় ৫ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১৫৮ জন মারা গেছেন। এক সপ্তাহ ধরে গোটা দেশ লকডাউনে এবং কাউকে নিজ বাড়ির ২ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে যেতে দেয়া হচ্ছে না।

সিএনএন অবলম্বনে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর