× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মার্কিন চাপে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রপ্তানিতে সম্মত ভারত

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) এপ্রিল ৭, ২০২০, মঙ্গলবার, ৪:১৫ পূর্বাহ্ন

করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন কার্যকরি বলে প্রমান পেয়েছে মার্কিন বিজ্ঞানীরা। এরপর থেকে এটি আমদানিতে নজর দিয়েছে দেশটি। অপরদিকে দেশ থেকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন যাতে বাইরে না চলে যায় তাই এর ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ভারত। এ নিয়ে ভারতেকে হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, করোনা রুখতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ওপর থেকে ভারতকে অবশ্যই নিষেধাজ্ঞা তুলতে হবে।

স্পষ্ট ভাষায় ভারতকে  হুমকি দিয়ে ট্রাম্প দাবি করেন, ভারতকে অবিলম্বে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রপ্তানির অনুমতি দিতে হবে। নইলে কঠিন প্রত্যাঘাত করবে যুক্তরাষ্ট্র। অবশেষে চাপের মুখে ট্রাম্পের এই দাবি মেনে নিয়েছে ভারত।
দেশটির মোদি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে সব দেশে করোনা ভয়াবহ আকার নিয়েছে, সেখানে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রপ্তানি করা যাবে।

এমনিতে ম্যালেরিয়া হলে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া হয়। কিন্তু এখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় এই ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি, করোনার প্রতিরোধক হিসাবেও এই ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রেও গবেষকরা দেখেছেন, করোনার চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সাহায্য করছে।

কিন্তু দেশে যাতে বিপদের সময় এই ওষুধের অভাব না হয়, সে জন্য ভারত সরকার হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনসহ মোট ২৬টি ওষুধ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল। সেই সঙ্গে মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং ভেন্টিলেটার রপ্তানির ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা আছে।

উল্লেখ্য, ভারত এ ধরণের ওষুধের ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম প্রধান উৎপাদক ও রপ্তানিকারী। ভারতে চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মীদেরও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া হচ্ছে। দুদিন পূর্বে ট্রাম্প ফোন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তিনি বিশেষ করে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে বলেন। এরপর রোববার ও সোমবার করোনা নিয়ে মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠক হয়। দেশে আগামী দিনে কত ওষুধ লাগতে পারে, কতটা আছে তা খতিয়ে দেখা হয়। সরকারি সূত্র জানাচ্ছে, যা প্রয়োজন তার থেকেও ২৫ শতাংশ ওষুধ হাতে রেখে তারপরই রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর