× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নাইক্ষংছড়িতে স্কুল ভাংচুর করে স্থানান্তরের অভিযোগ

বাংলারজমিন

বান্দরবান প্রতিনিধি
৭ এপ্রিল ২০২০, মঙ্গলবার

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় একটি স্কুল (পাড়া কেন্দ্র) ভাংচুর করে স্থানান্তরের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে এক পক্ষ চাইছে স্কুলের বর্তমান শিক্ষিকাকে সরিয়ে স্কুল স্থানান্তর করতে। অন্যপক্ষ স্কুলটি বহাল রাখার পক্ষে। এ নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে বিরোধ। ঘটনার জের ধরে এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।   
জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের মামা ভাগিনা ঝিরি এলাকায় পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে পরিচালিত পাড়া কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়। ওই কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে মোমেনা আকতার নামে এক শিক্ষিকা নিয়মিত পাঠদান করে আসছেন। সম্প্রতি কেন্দ্রটি সংস্কারের জন্য ৪০হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান হয়। এই অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: ইউনুছ ও সাবেক মেম্বার নাজির হোসেনসহ একটি মহল ওই কেন্দ্র নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে পড়েন।
তবে ষড়যন্ত্রের কথা অস্বীকার করে মো: ইউনুছ সাংবাদিকদের জানান- পুরাতন (স্কুল) পাড়া কেন্দ্রটি নষ্ট হয়ে গেছে। এলাকাবাসী ও কর্তৃপক্ষের সিন্ধান্ত মতে স্কুলটি নতুন করে টিন সেটের ঘর তৈরী করা হয়। কিন্তু ওই কেন্দ্রের শিক্ষিকার বাবা বজল আহমদ গত ২০ মার্চ কেন্দ্রটি ভেঙ্গে ফেলে বলে দাবী করেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে মুঠোফোনে জানতে চাইলে শিক্ষিকার পিতা বজল আহমদ জানান- মূলত স্থানীয় মেম্বার মোহাম্মদ হোছন ও তার বড় ভাই কেন্দ্র ও আমার মেয়েকে নিয়ে দীর্ঘদিন ষড়যন্ত্র করছেন। অফিসের দোহাই দিয়ে সম্প্রতি কাদির হোসেন আমার মেয়ের ওই কেন্দ্রটি মামাভাগিনাঝিরি থেকে ভেঙ্গে গুরুন্নাকাটা এলাকায় স্থানান্তর করেছেন। স্কুল শিক্ষিকা মোমেনা আকতার জানান- এলাকার কিছু লোক কেন্দ্রটি সরানোর জন্য ষড়যন্ত্র করছে। তবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অফিসের সিদ্ধান্তের বিষয় কী তা জানিনা।
এদিকে কেন্দ্রটি ভেঙ্গে স্থানান্তর করার বিষয়ে জানতে চাইলে উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের উপজেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক সুশীল চাকমা জানান- কেন্দ্রটি স্থানান্তর করা হয়নি। এমনিতে কেন্দ্রের শিক্ষিকা নিয়ে এলাকার লোকজন দুই পক্ষ হয়ে গেছে। তবে কেন্দ্র স্থানান্তর বিষয়ে অফিস কাউকে বলেনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর