× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনায় পর্যটন খাতে ক্ষতি ৫৭০০ কোটি টাকা: টোয়াব

অনলাইন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(৪ বছর আগে) এপ্রিল ৭, ২০২০, মঙ্গলবার, ৭:০৪ পূর্বাহ্ন

মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে প্রায় ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আর এই অবস্থা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) এর প্রেসিডেন্ট মো. রাফেউজ্জামানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হককে পাঠানো ওই চিঠিতে টোয়াব প্রেসিডেন্ট  বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প। এই ভাইরাসের কারণে আউটবাউন্ড, ইনবাউন্ড ও অভ্যন্তরীণ পর্যটনের শতভাগ বুকিং বাতিল হয়েছে। বাংলাদেশে জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকেই পর্যটন খাত কার্যত অচলাবস্থায় রয়েছে।  এ কারণে শুধু ট্যুর অপারেটররা নয় বরং এ শিল্প সংশ্লিষ্ট সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রাফেউজ্জামান বলেন, করোনার কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে পর্যটনশিল্প। ভাইরাসটির কারণে গত জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকেই খাতটিতে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। সে জন্য শুধু ট্যুর অপারেটররা নয়, শিল্পের সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জীবিকা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল এজেন্ট, হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ, বিমান সংস্থা, পর্যটক পরিবহন ও গাইডিং সংশ্লিষ্ট প্রায় ৪০ লাখ পেশাজীবী। দ্য ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম কাউন্সিল ইতিমধ্যে বলেছে, করোনায় বিশ্বজুড়ে ৫ কোটি মানুষ কাজ হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে।

সংকট মোকাবিলায় সদস্যদের জন্য আপৎকালীন আর্থিক সহায়তার দাবি করেছে টোয়াব।
সংগঠনটি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ৩০ হাজার কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ ১ থেকে ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠানের জন্য আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতি মূলধন বাবদ সহজ শর্তে দুই বছরের জন্য ঋণ চেয়েছে। যাতে করে কর্মচারীর বেতন-ভাতা, অফিস ভাড়া, গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারে টোয়াবের সদস্য ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলো।

এ ছাড়া পর্যটন খাতের সুরক্ষা ও উন্নয়নে আগামী তিন অর্থবছরের বাজেটে যথেষ্ট বরাদ্দ চেয়েছে টোয়াব। একই সঙ্গে সদস্য প্রতিষ্ঠানের অগ্রিম আয়কর; ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ফি; বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ফি; পিওএস মেশিনে লেনদেন ফি; হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টের ভ্যাট এবং ব্যাংক ঋণের সুদ ডিসেম্বর পর্যন্ত মওকুফের দাবি করেছে সংগঠনটি।

কক্সবাজার, সুন্দরবন, পার্বত্য চট্টগ্রাম, উত্তরবঙ্গ, সিলেট, বরিশাল ও অন্যান্য অঞ্চলের পর্যটন সংশ্লিষ্ট স্থানীয় ট্যুর অপারেটর, ট্যুর গাইড, কমিউনিটি পর্যটন পরিবার, মাঝি ও চালকদের মধ্যে বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ড, জেলা প্রশাসন ও টুরিস্ট পুলিশের তত্ত্বাবধানে আপৎকালীন আর্থিক অনুদান নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে আহ্বান জানান টোয়াব সভাপতি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর