পটুয়াখালী রাঙ্গাবালী উপজেলায় তাবলীগ জামায়াতের ৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তারা সকলেই ভারতীয় নাগরিক। মঙ্গলবার বিকেলে তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেন রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রশাসন। পরে তাবলীগ জামায়াতের উপজেলা শাখার মাকরাজে (খানকা) তাদের জন্য হোম কোয়ারেন্টিন করা হয়। বর্তমানে তারা সেখানে নিরাপদে রয়েছেন। কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিরা হলেন- আব্দুল আজম, আব্দুল মানাব, আব্দুর রশিদ, আব্দুল্লাহ, মো.নিশাদ, আব্দুর রশিদ ও ইবরার হোসেন। তাদের সকলের বাড়ি ভারতের বিহার প্রদেশে।
জানাগেছে, এবছরের জানুয়ারীতে ভারতের বিহার থেকে টঙ্গী এজতেমায় এসে যোগ দেন তাবলীগের এই সাথীরা। এজতেমার আখেরী মোনাজাত শেষে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পরেন তারা। দেশের বিভিন্ন স্থান সফর করে গত মাসে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় আসেন। এরপর থেকে রাঙ্গাবালী উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে তারা অবস্থান করছিল। খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মাশফাকুর রহমান ও অফিসার ইনচার্জ মো.আলী আহম্মেদ সেখানে গিয়ে তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেন। পরে তাবলীগ জামায়াতের স্থানীয় সাথীরা উপজেলা শাখার মাকরাজে হোম কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করেন।
তাবলীগ জামায়াতের রাঙ্গাবালী উপজেলা আমীর আহম্মেদ ফয়সাল জানান, তাবলীগী সাথীরা টঙ্গী ইজতেমার মোনাজাত শেষে পটুয়াখালী জেলায় এসে ছিল। এতদিন তারা রাঙ্গাবালী উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর আন্ডার একটি মসজিদে ছিলেন। গতকাল সেখান থেকে আমাদের মাকরাজে আসেন। পরে প্রশাসনের লোকেরা এসে এখানে হোম কোয়ারেন্টিনের ঘোষণা দিয়ে যান এবং কোন ভাবেই ঘরের বাহিরে বের না হওয়ার নির্দেশ দেন। সাথীরা বর্তমানে নিরাপদে ও সুন্দর পরিবেশে আছেন।

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান জানান, ভারতীয় তাবলীগ জামায়াতের লোকজন রাঙ্গাবালীতে আছেন এমন খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের সাথে কেউকে সাক্ষাত করতে দেয়া হচ্ছেনা। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে তারা নিরপাদে আছেন।