× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঢাকায় আরো ৯ এলাকা লকডাউন

করোনা আপডেট

স্টাফ রিপোর্টার
৭ এপ্রিল ২০২০, মঙ্গলবার

মরণঘাতী করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে রাজধানীর আরো ৯টি এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। যেসব এলাকায় রোগী পাওয়া যাচ্ছে, সে এলাকা পুরোপুরি লকডাউন করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাতে ছোঁয়াচে রোগটি আরও ছড়িয়ে পড়তে না পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪১ জনের মধ্যে ২০ জনই ঢাকার বলে নিশ্চিত হওয়ার পর আজ মঙ্গলবার পুরান ঢাকা, মোহাম্মদপুর, আদাবর, বছিলা, বাড্ডা ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বিভিন্ন ভবন ও সড়ক লকডাউন করার ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।
ওই এলাকার কেউ এখন বাইরে বের হতে পারবেন না। সেখানে কেউ ঢুকতেও পারবেন না।
দেশে করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে ঢাকায় মিরপুরের টোলারবাগে রোগী শনাক্তের পপর ওই এলাকাটি আগেই লকডাউন করা হয়েছিল।

মোহাম্মদপুর এবং আদাবরের ৬টি এলাকা লকডাউন করা হয়েছে বলে জানান ডিএমপির মিরপুর জোনের সহকারী কমিশনার রৌশনুল হক সৈকত।

তিনি বলেন, আইইডিসিআর মোহাম্মদপুর-আদাবর এলাকার কয়েকজনের করোনাভাইরাস পজেটিভ পায়। এরপরেই বাসাগুলো চিহ্নিত করে লকডাউন করা হয়।

এরমধ্যে কৃষি মার্কেটের সামনে, তাজমহল রোড মিনার মসজিদ এলাকা, রাজিয়া সুলতানা রোড, বাবর রোড, বছিলা ও আদাবর এলাকার কয়েকটি বাড়ি ও রাস্তা এখন লকড ডাউন। এসব এলাকা ঘিরে লাল ফিতা, পতাকা লাগিয়ে চলাচলে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। ঘনঘন মাইকিং করা হচ্ছে।

এসব এলাকায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর বাড়ি ছাড়াও বাড়ির সামনের রাস্তা ও আশেপাশের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানান সহকারী কমিশনার সৈকত।

ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বিকালে বলেন, উত্তর বাড্ডার খানবাগ রোডের এক ব্যক্তির শরীরে নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরপর ওই ভবনটি লকডাউন করা হয়েছে।

এছাড়াও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এক নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ওই নারী যে ভবনে থাকতেন, সেটি লকডাউন করা হয়েছে।

পুরান ঢাকায় খাজে দেওয়ান লেনে একটি মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি ও এক নারীর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ায় ওই এলাকার দুইশ ভবন লকডাউন করা হয়েছে।

চকবাজার থানার ওসি মওদুত হাওলাদার মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, যে মসজিদ কমিটির সহসভাপতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি সমাজে চলাচল করেছেন এবং বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেছেন। ওই লেনের এক নারী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই নারী বাইরে যেতেন না। তাহলে নিশ্চয়ই তার স্বামী-সন্তান বাইরে থেকে এই ভাইরাস বাসায় এনেছেন।

এই দুটি ঘটনায় খাজে দেওয়ান লেনে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটেছে ধারণা করে ওই লেনের এক ও নম্বর দুই নম্বর গলি লকডাউন করা হয়েছে।

এই দুটি গলিতে আনুমানিক দুইশ ভবন রয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, মঙ্গলবার বিকাল ৫টার পর থেকে কাউকে ঢুকতে এবং বের হতে দেয়া হচ্ছে না। কারও কিছু প্রয়োজন হলে পুলিশের মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর