× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনায় সংক্রমণ এবার কলকাতার ফুটপাতে

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) এপ্রিল ৭, ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:২৪ পূর্বাহ্ন
প্রতীকী ছবি


করোনায় সংক্রমণ এবার ধরা পড়েছে কলকাতার ফুটপাতে। দুই প্রান্তের দুই ফুটপাথবাসী ভিখারির শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হবার পর রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবন উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে। কীভাবে দুই ভিখারির সংক্রমণ হয়েছে তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। রাজ্য নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটিও এই সংক্রমণ নিয়ে খুব চিন্তিত। কারণ শহর কলকাতায় লক্ষাধিক মানুষ ফুটপাতে বাস করেন। তাতেই নতুন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল উত্তর কলকাতার রাস্তায় টহল দেবার সময় এক পুলিশ সাব-ইনসপেক্টর ফুটপাতের এক ভিখারিকে অসুস্থ অবস্থায় দেখে তাকে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল নিয়ে এসেছিলেন। ফুটপাতবাসী ওই ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ হয়ে থাকতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই তাকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন ওই সাব-ইনসপেক্টর।
জানা গিয়েছে, ফুটপাতবাসী ওই ভিখারি কথা বলতে পারেন না। সোমবার তার লালারসের পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। দেখা যায়, রিপোর্ট পজেটিভ। অর্থাৎ ফুটপাতবাসী ওই ভিখারির শরীরে নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে। এরপরই মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশে ওই ভিখারিকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ কলকাতার গার্ডেনরিচ এলাকার টুকরা বস্তির ৫৫ বছরের এক ভিখারির শরীরেও মিলেছে কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ। উপসর্গ দেখে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। তারও লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে সোমবার। স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশে মঙ্গলবার তাকেও বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের এক আধিকারিকের কথায়, বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের। কীভাবে এই দুজন ফুটপাতবাসী করোনায় সংক্রমিত হলেন, সেটাই আমরা খুঁজছি। তারা কোথায় গিয়েছিলেন, তাদের সঙ্গে কারা কারা সংস্পর্শে এসেছেন, তারা যে জায়গায় থাকেন সেখানে ফুটপাতে আর কারা কারা বাস করেন, সব বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে । এদিকে পশ্চিমবঙ্গে মঙ্গলবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯। আর মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন। এদিন মমতার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, এখন আতঙ্কিত হবার সময় নয়। তবে তার প্রস্তাব, বাজারহাটে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হোক। সেই সঙ্গে বাজে বা দোকানে প্রবেশের আগে স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা রাখা হোক। এই ধরণের ছোট ছোট জিনিস খেয়াল করলে অনেক দূর এগোনো যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন। সোমবারই মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দেবার জন্য অভিজিৎকে নিয়ে মমতা একটি গ্লোবাল অ্যাডভাইজরি বোর্ড গঠন করার কথা ঘোষণা করেছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর