× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কোন দলের বিপক্ষে ম্যাচ জানে না কেউ, তবুও ১ লাখ টিকিট বিক্রি!

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
৭ এপ্রিল ২০২০, মঙ্গলবার

 

এপ্রিল মাস ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়। কিন্তু করোনা মহামারিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে আছে সব। ফুটবলপ্রেমীদের সময় কাটছে ঘরে বসে পুরনো ম্যাচ দেখে। ঠিক এমন মুহূর্তে জার্মানির চতুর্থ স্তরের ক্লাব লোকোমটিভ লাইপজিগ ঘোষণা দিলো ৮ই মে  একটি ম্যাচ আয়োজন করতে যাচ্ছে তারা। তবে কোন দলের বিপক্ষে সেটি বলেনি ক্লাবটি। তাতে কী? প্রতিপক্ষ যেই হোক, লাইভ খেলা দেখার সুযোগটা মিস করতে চাইছে না ফুটবলপিপাসুরা। অনলাইনে ইতিমধ্যেই ১ লাখ টিকিটি বিক্রি হয়ে গেছে।

করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ঠ সংকট কাটিয়ে উঠতে শীর্ষ ক্লাবগুলোই এখন হিমশিম খাচ্ছে। লোকোমোটিভ লাইপজিগের মতো ছোট ক্লাবগুলোর অবস্থা আরো খারাপ।

ভবিষ্যত তারকা ও স্টাফদের কথা ভেবেই এমন ব্যতিক্রমধর্মী একটি ম্যাচ আয়োজন করতে যাচ্ছে জার্মান ক্লাবটি।

প্রতিটি টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ ইউরো করে। গত ১৯শে মার্চ ম্যাচের প্রচারণা শুরু করে তারা। ১ লাখ ২০ হাজার টিকিট বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ১২৭ বছরের পুরনো ক্লাবটি। এখন চতুর্থ স্তরে খেললেও একটা সময় তারা বুন্দেসলিগায় নিয়মিত ছিল। ১৯০৩ সালে ভিএফবি লাইপজিগ নামে জার্মান চ্যাম্পিয়শিপও জিতেছিল তারা। আর ১৯৮৭ সালে উয়েফা কাপ ইউনার্স কাপে হয় রানার্সআপ। ফাইনালে লোকোমটিভ লাইপজিগ ১-০ গোলে হেরে যায় মার্কো ফন বাস্তেনের আয়াক্সের কাছে। গোলটি করেন বাস্তেন।

লোকোমটিভ লাইপজিগের হোমভেন্যুর নাম ব্রুনো প্লেচ স্টেডন। চলতি মৌসুমে এ মাঠে সর্বোচ্চ দর্শক সমাগম ছিল ৪,৪৯৮ জন। গড়ে প্রতিটি ম্যাচ থেকে ক্লাবটির আয় ৩০ হাজার ইউরো।

৮ই মের ম্যাচটির ব্যাপারে লোকোমটিভ লাইপজিগ ক্লাবের একজন মুখপাত্র বার্তাসংস্থা বিবিসিকে বলেন, ‘স্টেডিয়াম থেকে একটি লাইভ স্ট্রিমিং হবে। ফ্লাডলাইট জ্বালানো হবে। আমাদের ইন্টারনেট রেডিও ধারাভাষ্যকারগণ ম্যাচে ধারাবিবরণী দেবেন। এর চেয়ে বেশি কিছু বলবো না আমি। ক্লাবের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে এই ম্যাচ থেকে প্রাপ্ত অর্থ। আমাদের ৩০০ জন কিশোর ফুটবলার রয়েছে। স্টাফদের বেতন দিতে হবে এবং অন্যান্য কার্যক্রম চালু রাখা প্রয়োজন।’

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর