জানুয়ারির শুরুর কথা। সিলেটের এসপি ফরিদ উদ্দিনের আহবানে সাড়া দিয়েছিলো বর্ণিত চিহিৃত ডাকাতদলের সদস্যরা। স্থানীয় জনগনের সহযোগিতায় বর্ণির কান্দিপাড়ার মুজিবুর রহমান, বর্নির কয়েছ, হোসেন, রইস সহ ১০ জন ডাকাত পুলিশের হাতে আত্মসমর্পণ করেছিলো। একাধিক মামলার হুলিয়া নিয়ে তারা ডাকাতি করে বেড়াচ্ছিলো। পুলিশের ঘোষণায় আত্মসমর্পণের পর থেকে তারা কারাগাওে রয়েছে। অাত্মসমর্পণ করা সেই ডাকাতদের পরিবারের কথা ভুলেননি সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আহমদ। মঙ্গলবার তিনি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করতে যান কোম্পানীগঞ্জে। সেখানে ভোলাগঞ্জ গুচ্ছগ্রাম, টুকেরবাজার সহ কয়েকটি গ্রামের ৩০০ মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করেন।
সন্ধ্যার একটু আগে পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন কোম্পানীগঞ্জ থেকে সিলেট ফিরছিলেন। পথেই বর্ণি এলাকা। বর্ণিতে আসার পর তার মনে পড়ে আত্মসমর্পণকারী ১০ ডাকাতের কথা। এ সময় তিনি ওই ডাকাতদের পরিবারের খবর নিতে নিজেই ছুটে যান বাড়ি-বাড়ি। বর্নি সহ কয়েকটি গ্রামের ডাকাত পরিবারের খবর নেন। এ সময় ওই পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন খাদ্য সামগ্রী। আর কোম্পানীঞ্জ থানার ওসি সজল কানুকে নির্দেশ দেন- জেলে থাকা ডাকাতদের পরিবারের খোজখবর নিতে। প্রয়োজন হলে আরো খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেওয়ারও নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি। এ সময় এসপি ফরিদ উদ্দিনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) মো: লুৎফর রহমান,সহকারী পুলিশ সুপার (গোয়াইনঘাট সার্কেল) নজরুল ইসলাম পিপিএম, অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা (উত্তর) সাইফুল আলম।
পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন এ সময় এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। আগামীতে বর্ণী এলাকায় ডাকাতির মত কোন অপরাধ যেন সংগঠিত না হয় সেজন্য এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকার আহবান জানান তিনি। এবং ডাকাতদের পরিবারের পাশে দাড়ানোর আহবান জানান তিনি।