× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আক্রান্ত ২১৮, মৃত্যু ২০ / উদ্বেগ বাড়াচ্ছে এক মাসের পরিসংখ্যান

করোনা আপডেট

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
৮ এপ্রিল ২০২০, বুধবার

দেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু দ্রুত গতিতে বাড়ছে। গত এক মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২১৮ জন। একই সময়ে মারা গেছেন ২০ জন। এই সংখ্যা বিশ্বের বেশি আক্রান্ত দেশের প্রথম ৩০ দিনের পরিসংখ্যা অনুযায়ি বড় উদ্বেগের কারণ। যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন ও ইতালির মতো দেশের প্রথম ৩০ দিনের আক্রান্তের সংখ্যার চেয়ে বাংলাদেশের সংখ্যা বেশি। দেশে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ। যা ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনের চেয়ে অনেক বেশি। চীনে এই হার ছিল ৪ শতাংশ।
আর মারা যাওয়ার দিক দিয়ে ইতালির পরই বাংলাদেশের অবস্থান। দেশে এ পর্যন্ত ২১৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৩ জন। চিকিৎসাধীন ১৬৫ জন। এপর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫ হাজারের ওপরে। আজ করোনা বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আইইডিসিআর-এর তথ্য মতে, রাজধানীর কমপক্ষে ৫০ টি এলাকায় ১২৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং সারা দেশে১৫ জেলায় চিহ্নিত হয়েছেন ৯৫ জন। করা হচ্ছেন বিভিন্ন এলাকা লকডাউন। দেশে নারীর চেয়ে পুরুষরা আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এমনটাই বলছেন। দেশে কমপক্ষে আগামী এক মাস আরো করোনা ঝুঁকি রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন। গত ৩১শে ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে এই ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর এটি বিশ্বের প্রায় সকল দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। এটি এখন বৈশ্বিক মহামারি রূপ নিয়েছে। বিশ্বে এ পর্যন্ত ১৪ লাখের বেশি আক্রান্ত এবং ৮২ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন । বাংলাদেশে ৮ই মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত এবং ১৮ই মার্চ ভাইরাসটিতে একজন মারা যাওয়ার তথ্য আসে। শুরুতে পরীক্ষার বিষয়টি কম গুরুত্ব দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। শুধুমাত্র একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরীক্ষা হওয়ায় শুরুর দিকে অনেকেই হয়তো পরীক্ষার আওতায় আসেনি। এটি ভবিষ্যতে বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যখাত সংশ্লিষ্টরা। যদিও এখন সারা দেশে অন্তত ১৭ টি ল্যাকে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। এখন পরীক্ষা বিস্তৃত হওয়ায় বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর