ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত উইজডেনের ২০১৯ সালের ‘লিডিং’ (সেরাদের সেরা) ক্রিকেটার হয়েছেন বেন স্টোকস। ২০০৫ সালের পর প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এমন কৃতিত্ব দেখালেন ২৮ বছর বয়সী এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। এর আগে ২০০৫ সালে উইজডেনের সেরার খেতাব (লিডিং ক্রিকেটার) জিতেছিলেন অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ।
আন্দ্রে রাসেল হয়েছেন ২০১৯ সালের সেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার ও এলিস পেরি সেরা নারী ক্রিকেটার। বর্ষসেরা হওয়া অন্যরা হলেন: জফরা আর্চার (ইংল্যান্ড), প্যাট কামিন্স (অস্ট্রেলিয়া), সাইমন হারমার (দক্ষিণ আফ্রিকা) ও মারনাস লাবুশেন (অস্ট্রেলিয়া)। এর আগে ২০১৮ সালের উইজডেনের বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছিলেন ররি বার্নস, ট্যামি বেউমন্ট, জস বাটলার ও স্যাম কারেন। বিরাট কোহলি হয়েছিলেন ‘লিডিং ক্রিকেটার’।
গত বছর প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক ছিলেন স্টোকস। সেই সঙ্গে অ্যাশেজে হেডিংলি টেস্টে ১৩৫ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে ইংলিশদের এনে দেন অবিশ্বাস্য এক জয়।
অস্ট্রেলিয়া নারী দলের সাফল্যে পেরির ভূমিকা অনস্বীকার্য। ব্যাট, বল দুই বিভাগেই সমান তালে অবদান রেখেছেন তিনি।
সব ফরম্যাটেই সমান সফল এই ক্রিকেটার ছিলেন নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য। যদিও শেষ দুই ম্যাচ ইনজুরির কারণে খেলা হয়নি তার।
বার্বাডোজে জন্ম নেওয়া গতি তারকা জফরা আর্চার ২০১৯ সাল কাটিয়েছেন স্বপ্নের মতো। ইংল্যান্ড দলে নিজের জায়গা পাকা করা এই বোলার বিশ্ব ক্রিকেটকে দিয়েছেন তার আগমনী বার্তা। বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য হয়েছেন, শিকার করেছেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট। অ্যাশেজে অজিদের বিপক্ষে তুলেছেন গতির ঝড়, অজিরা নাকাল হয়েছে তার বোলিংয়ের সামনে।
২০১৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনাল হেরে বিদায় নেয়। তবে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি প্যাট কামিন্স ছিলেন উজ্জ্বল। অ্যাশেজ ট্রফি নিজেদের কাছে রেখে দিতে প্যাট কামিন্সের অবদান মুখ্য ছিল অজিদের। অ্যাশেজে অজিদের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন তিনি।
টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম কনকাশন সাব মারনাস লাবুশেন তার ধারাবাহিক ব্যাটিং দিয়ে প্রমাণ করেছেন ক্রিকেটে সাব হয়ে থাকতে আসেননি তিনি। অজিদের পক্ষে রানের বন্যা বইয়ে দেওয়া লাবুশেন কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে গালমরগানের পক্ষে করেছেন ১১১৪ রান।
এসেক্সের হয়ে ধারাবাহিক পারফর্ম করে গেছেন শিমন হারমার। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই স্পিনার এসেক্সের জেতা কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ ও টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট এই দুই টুর্নামেন্টেই দলের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন।