খুলনার কয়রায় নদী ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে নদীপাড়ে বসবাস করা মানুষ। নদীতে জোয়ারের পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে লোনা পানি প্রবেশ করতে পারে এই আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে তারা।
এলকাবাসির সূত্রে জানা গেছে, কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাধ বুধবার জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। স্থানীয় এলাকাবাসি স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে কাজ করে পানি প্রবেশ বন্ধ করতে পারলেও রাতের ভোরা জোয়ার নিয়ে আতংকিত ওই এলাকার সাধারণ মাানুষ। ভাঙন রোধে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে যে কো মুহুর্তে ভেঙ্গে ৫ টি গ্রাম তলিয়ে যাওয়ার আংশকা রয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এ ছাড়া কয়রার উপজেলার পাউবোর ১৫৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ২১ কিলোমিটার ঝুঁকিতে আছে। এর মধ্যে ৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোন সময় ঝুঁকিপূর্ন এই বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকায় লোনা পানি প্রবেশ করতে পারে।
মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জি এম আব্দুল্যাহ আল মামুন লাভলু বলেন,নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দশহালিয়া সহ কয়েকটি জায়গায় পানি প্রবেশ করেছে।
খবর পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে তাৎক্ষনিক কাজ করা হয়েছে। শ্রমিক লাগিয়ে দিন রাত কাজ করা হচ্ছে। তবে পাউবোর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জরুরী ভিত্তিতে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহন করা না হলে ভাঙ্গন রোধ করা যাবেনা।
পাউবোর আমাদী সেকশন অফিসার সেলিম মিয়া জানান, দশহালিয়া বেড়িবাধ উপচে পানি পানি প্রবেশ করার বিষয়টি জানতে পেরেছি। পাউবোর উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার সাহা জানান, কয়রার মানুষের জীবন-মরনের সঙ্গী পাউবোর বেড়িবাঁধ। উপকূলীয় জনপদের মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য টেকসই বেড়িবাঁধ জরুরী। এ ব্যাপারে পাউবোর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।