রাষ্ট্রীয় মালিকানার অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার একজন কর্মকর্তা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সর্বশেষ তিনি গত রোববার অফিস করেন। আজ বুধবার সকালে করোনা ভাইরাস পজেটিভ পাওয়ার পর শাখাটি লকডাউন করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যলায়ের শীর্ষ এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় একজন সিনিয়র অফিসার করোনা আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকে অবহিত করে শাখাটি লকডাউন করা হয়েছে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক তার খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ওই ব্যাংক কর্মকর্তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। তার বাবাও একটি বেসরকারি ব্যাংকের শীর্ষ ব্যাংক কর্মকর্তা।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংক খোলা রাখার বিষয়ে সার্কুলার জারি করলেও ব্যাংকগুলোয় উপচে পরা ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা ব্যাংকার ও ব্যাংকের গ্রাহক উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরুপ।
এছাড়া সাধারণ ছুটির কারণে অধিকাংশ সেবা প্রতিষ্ঠান থাকলেও ব্যাংক খোলা রাখা নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। শাখায় আগতরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই ঢুকে পড়ছেন। ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরাপদ দূরত্বের কথা বললেই অনেকে ক্ষেপে যাচ্ছেন। আবার অফিসে যাওয়া-আসার পথে নানা বাধার মুখে পড়ছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। এখন দাবি উঠেছে সপ্তাহে মাত্র একদিন ব্যাংক খোলা রাখার।
জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে বিভিন্ন এলাকা লকডাউন করা হচ্ছে। যেসব ব্যাংক শাখার অবস্থান লকডাউন করা এলাকায় আওতাভুক্ত ওই শাখাগুলো জনস্বার্থে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ ধরনের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।