অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ঠান্ডা মাথায় নেতৃত্ব দিয়ে আকবর আলী বাংলাদেশকে এনে দেন শিরোপা। দেশে ফিরে ক্রিকেটের সোনালি পথে হাঁটার কথা ছিল তার দলের। কিন্তু আকবর ও তার সঙ্গীরা নেমেছেন অন্য মিশনে- করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে নিজেদের অল্প আয় থেকেই দরিদ্র মানুষের জন্য দিচ্ছেন আড়াই লাখ টাকা। যুব ক্রিকেট দলের অধিনায়ক আকবর জানালেন, এই যুদ্ধে দেশের মানুষকে এখনই হার-জিতের কথা না ভেবে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। বর্তমানে রংপুরে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন তিনি।
আজ (বুধবার) মুঠোফোনে
দৈনিক মানবজমিনকে আকবর বলেন, ‘আমরা যখন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলি, ভাবিনি শেষ পর্যন্ত শিরোপা জিতবো। এমনকি হার নিয়েও ভাবিনি। যেটা করেছি তা হলো লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত রেখেছি নিজেদের। প্রতিপক্ষ কি করলো না করলো সেটি মাথায় না রেখে দলের সবাই যার যার দায়িত্ব পালন করেছে।
ঠিক তেমনি করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে হার-জিতের কথা না ভেবে আমাদের আগে প্রস্তুতি ঠিকথাকমতো নিতে হবে। যেমন- ঘরে থাকা, এটি প্রথম কাজ। এরপর যে বিধি বা নিয়মতগুলো আছে যেমন- সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, পরিষ্কার থাকা, হাঁচি-কাশির যেন ছড়িয়ে না পরে সেদিকে খেয়াল রাখা, যেখানে-সেখানে থুতু না ফেলা- এ কাজগুলো করতে হবে। আমি মনে করি প্রস্ততি ঠিক থাকলে করোনা বিরুদ্ধে জয় আসবেই।’
আকবররা বিশ্বকাপ জিতে আসার পর বিসিবির পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়, দুই বছর পর্যন্ত তাদের প্রত্যেকে মাসে ১ লাখ টাকা করে দেয়া হবে। তবে সেই টাকা দেয়া এখনো শুরু হয়নি। তারপরও ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফসহ প্রায় ২৫ জন মিলে ঠিক করেছেন প্রত্যেকেই দেবেন ১০ হাজার টাকা করে। এই নিয়ে আকবর বলেন, ‘তহবিলে এখনো কাজ চলছে। পুরো প্রক্রিয়াটা ঠিক করছেন আমাদের বিশ্বকাপজয়ী দলের ম্যানেজার কায়সার ভাই। তিনিই আমাদের সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে তহবিলের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন। এটি আসলে আমাদের ছোট একটা প্রচেষ্টা। বাকিটা দেশের সকলকে মিলে করতে হবে। তাহলেই আমরা এই মহাবিপদ থেকে বের হতে পারবো।’
করোনার কারণে ঘরে বসেই কাটছে যুবদলের অধিনায়কের সময়। তিনি বলেন, ‘একেবারেই ঘরে আছি। এটাই আসলে করতে হবে। এখানে থেকে ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য বেল্টের কাজগুলো করছি। মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে ইউটিউবে নিজেদের ব্যাটিং-বোলিংয়ের আগের ভিডিওগুলো দেখছি। এছাড়াও দাবা খেলছি। মাঝে মাঝে মুভি দেখি। সময় কাটছে ভালোই। আশা করি পরিস্থিতি ঠিক হলে আবার মাঠে ফিরবো। আপাতত যেটা করার সেটাই করছি।’