যার নেশা আড্ডা দেয়া। বৈঠকী ঢঙে দল বেঁধে খাওয়া দাওয়া করা। দিন দুনিয়ার রাজনীতি আর অর্থনীতির খবর নেয়া। দেশের রাজনীতির গতি প্রকৃতি বিশ্লেষণ করা। খবরের কাগজে চোখ রাখা। দিনের শুরুতে একেবারে কাকডাকা ভোরে অফিস আসা। কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে, গোসল সেরে নামাজ পড়া। তারপর অফিসের প্রাত্যহিক কাজ।
নোট ভারবালে মন্তব্য লেখা। জরুরি চেক স্বাক্ষর। এরপর এসব ফেলে টেবিলেই মাতেন রাজনীতির রাজা উজির নিয়ে আলোচনায়।
আড্ডায় নিয়মিত যোগ দিতেন পোড় খাওয়া রাজনীতিক থেকে শুরু করে, পত্রিকার সম্পাদক, মাঠে ছুটে চলা রিপোর্টার কিংবা টকশোর আলোচকরা। ফাঁকে ফাঁকেই বাঙালি মুন্সিয়ানায় চলত খানাপিনা। দিনশেষে প্রয়োজনীয় ডিকটেশন। নিশুতি রাতে বাড়ি ফেরার আগে কখনও টকশোর টেবিলে ভবিষ্যৎ পথচলা নিয়ে কথা বলা।
অকষ্মাৎ পরিস্থিতি বদলে যায়। কোন বিশেষ পরিস্থিতিই যাকে আটকাতে পারেনি। আজ তিনি অনেকটাই গৃহবন্দি। করোনা নামক ভাইরাস এক অন্যরকম উদ্বেগ ছড়িয়ে দিয়েছে সবখানে। যার রেশ আটকে দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালীন চার খলিফার এক খলিফা নূরে আলম সিদ্দিকীকেও। বলছিলাম, অনলবর্ষী বক্তা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, স্বাধীনবাংলা কেন্দ্রিয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক নূরে আলম সিদ্দিকীর কথা।
লকডাউনে সময় কাটছে গুলশানের বাসায় বসে ইউটিউবে নাটক দেখে। কখনওবা দুই নাতি জোহরা ওয়ার আলম সিদ্দিকী ও জোহান আলম সিদ্দিকীর সঙ্গে খুনশুটি করে। সাধারণত ছুটির দিন গুলশান আজাদ মসজিদে নামাজ পড়তে যেতেন। বর্তমানে নামাজ পড়ছেন বাসাতেই। বাসার দ্বিতীয় তলায় টেলিভিশনে খবর দেখে, পরিবারের সঙ্গে আড্ডা দিয়েই কাটছে দিনের বেশিরভাগ সময়।