× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

লকডাউনে বিয়ে, বরের ১০ হাজার টাকা জরিমানা

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ
৮ এপ্রিল ২০২০, বুধবার
প্রতিকি ছবি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে লকডাউনের মধ্যে ধুমধাম করে পারিবারিকভাবে বিয়ে করায় জরিমানা গুনতে হয়েছে এক সরকারি কর্মকর্তাকে। বুধবার বিকেলে এ ঘটনায় পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের গোচাইট গ্রামের পিয়ার হোসেনের ছেলে পৌরসভার পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক শাহীন কবিরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার গোচাইট গ্রামে এ বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
বুধবার বিকেলে শাহীন কবিরের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইদুল ইসলাম উপস্থিত হন। এসময় ইউএনও ও থানা পুলিশের উপস্থিতির খবর পেয়ে আগেই শাহীন কবির বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে ইউএনও ওই বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে শাহীনের ছোট ভাই সোহেল মিয়াকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
বিয়েতে উপস্থিত থাকা এলাকার এক বাসিন্দা জানান, পৌরসভার পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক শাহীন কবির উপজেলার সনমান্দি গ্রামের জামাল উদ্দিনের মেয়ে নাদিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের অনুষ্ঠানটি অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা করা ছিল। সরকারি কর্মকর্তা বিধায় তিনি নিজে ৭০ জন বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে যান।
বিয়ে বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে খাওয়া দাওয়াও হয়। সেখানেই কাজী বিয়ে পড়ান।
পরে এলাকাবাসী খবর পেয়ে করোনা ভাইরাসের এ পরিস্থিতিতে এত লোক নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে আসায় বরপক্ষের সমালোচনা করেন। সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বরপক্ষের লোকেরা ধীরে ধীরে অনুষ্ঠান থেকে সটকে পড়ে।
উপজেলার গোচাইট গ্রামের বাসিন্দা রহিম ব্যাপারী বলেন, এখানে অনেক মানুষ এসেছে শহর থেকে। এর মধ্যে যেসব এলাকায় মানুষ করোনায় মারা গেছে, সেসব এলাকা থেকেও লোক এসেছে। আমাদের এখন ভয় হচ্ছে এরা এখানে করোনা ছড়িয়ে গেল কিনা।
এ বিষয়ে শাহীন কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি আপাতত কাবিনটা সম্পন্ন করে রেখেছি। এটি একেবারেই ছোট পরিসরে ছিল। শুধুই পারিবারিক। বউভাতের আয়োজন এখন করিনি। পরিস্থিতি ভালো হলে বড় করে আয়োজন করবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইদুল ইসলাম বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তার এ ধরনের কর্মকাণ্ডে আমরা বিব্রত। এটি তিনি কিভাবে করলেন আমার মাথায় আসছেনা। আপাতত তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেটি তাই ভাই পরিশোধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর