নাঙ্গলকোটে গত দুই দিনে পর পর দুইজনের মৃত্যু হওয়ায় লাকসাম-নাঙ্গলকোট প্রধান সড়ক ও বিভিন্ন মহাসড়ক শাখা রাস্তাগুলি বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় জনগণ। বুধবার নাঙ্গলকোট পৌরসভার বাতুপাড়া গ্রামের হাজেরা বেগম(২৮) নামে এক গৃহবধু জ্বর, সর্দির কারনে মৃত্যু বরণ করে। এছাড়া গত মঙ্গলবার দোলখাঁড় ইউনিয়নের মোশারফ হোসেন (৪০) এক যুবক কোরনা রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করে। সারা দেশের মত করোনা কভিট ১৯ সংক্রান্ত রোগে লাকসামের জনগণ আতংকিত।
স্থানীয় প্রশাসন সেনাবাহিনীসহ আইন শৃঙ্খলাবাহিনী সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কাঁচামাল, খাদ্য দোকান দুপুর ১টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দেয়। অন্যদিকে ঔষধ দোকান সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা রাখতে পারবে। এছাড়া বিভিন্ন যানবাহন, অটো, সিএনজি বন্ধ রাখার নিদের্শ দেয়। প্রশাসনের আইনকে অমান্য করে এসব যানবাহন চলছে। গত মঙ্গলবার নাঙ্গলকোট উপজেলার দোলখাঁড় ইউনিয়নের মোশারফ হোসেন (৪০) জ্বর, সর্দি, গলাব্যাথা আক্রান্ত হয়ে ওই যুবক মৃত্যু বরণ করেন।
স্থানীয় প্রশাসন খবর পেয়ে মৃত দেহের নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামে আইসিডিআর এ পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন বিশ্বসংস্থার গাইড লাইন মোতাবেক সর্বচ্চো সর্তকার সাথে নিহত যুবককে দাফন করা হয়। অপরদিকে বুধবার এক গৃহবধুর জ্বর,সর্দি নিয়ে স্বামী বাড়ী থেকে বাবার বাড়ীতে কাঠালিয়া গ্রামে চিকিৎসার জন্য আসে । তার বাবার বাড়ীতে আসার পর মৃত্যু হয় ওই গৃহবধুর। স্থানীয় প্রশাসনকে না জানিয়ে স্বামীর বাড়ীতে গোপনে দাফন করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে লাকসাম ও নাঙ্গলকোর্ট বাসী আতংকের মধ্যে রয়েছে। তাই লাকসাম-নাঙ্গলকোট প্রধান সংযোগ সড়কটি বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেয় এবং পৌরসভায় আনসার পাহারা বসায়। সড়ক দিয়ে যাতে কোন যানবাহন নাঙ্গলকোট থেকে ঢুকতে এবং যেতে দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া পাড়া মহল্লাসহ বিভিন্ন রাস্তায় বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। এ যেন অঘোষিত লকডাউন।