× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হটস্পট ঢাকা, হুহু করে বাড়ছে করোনা রোগী

করোনা আপডেট

মারুফ কিবরিয়া
৮ এপ্রিল ২০২০, বুধবার

প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশে। আর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ত্রাস তৈরি করেছে ঢাকায়।
করোনার জন্য ঢাকা এখন হটস্পট। দেশের অন্য স্থানগুলোর চেয়ে এখানেই বেশি বাসা বেঁদেছে প্রাণঘাতি এই ভাইরাস। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন যে রোগী শনাক্ত হচ্ছেন তার বেশিরভাগ ঢাকার। বুধবার রেকর্ড সংখ্যক শনাক্তের তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একদিনেই এই শহরে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ জন। এর আগের দিন মঙ্গলবারও একই চিত্র ছিল। এদিন ৪১ শনাক্তের মধ্যে ঢাকাতেই ২০ জন।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, গত একমাসে মোট ২১৮ করোনা আক্রান্তের মধ্যে ১২২ জনই ঢাকার। অন্যদিকে এর পরেই ৪৬ জন রয়েছেন নারায়ণগঞ্জের।

ঢাকায় যেসব এলাকায় করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে তার মধ্যে এর হাজারীবাগে একজন, উর্দুরোডে একজন, বুয়েট এলাকায় একজন, লালবাগ এলাকায় পাঁচজন, ইসলামপুর এলাকায় দুইজন, লক্ষ্মীবাজার এলাকায় দুজন, নারিন্দায় একজন, বাবু বাজার দুজন, সোয়ারীঘাটে তিনজন, ওয়ারীতে নয়জন, চকবাজার দুজন, কোতোয়ালী এলাকায় একজন, বংশাল এলাকায় একজন আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন।

পুরান ঢাকার পরেই রয়েছে মিরপুর এলাকা। মিরপুর-১০ এলাকায় দুইজন, কাজীপাড়ায় একজন, মিরপুর-১১তে দুইজন, মিরপুর-১৩ এলাকায় একজন, মিরপুর-১ এলাকায় আটজন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়াও শাহআলী বাগে দুইজন, পীরেরবাগে একজন, টোলারবাগে চারজন ও উত্তর টোলারবাগ এলাকায় ছয়জনের মধ্যে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ পাওয়া গেছে।

বাসাবো এলাকায় ৯ জন্যের মধ্যে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ছয়জন, যাত্রাবাড়ী এলাকায় পাঁচজন, ধানমন্ডি এলাকায় নয়জন, উত্তরায় পাঁচজন, গুলশানে ৬জন, তেজগাঁওয়ে দুজন, পুরানা পল্টন এলাকায় দুইজন, জিগাতলায় তিনজন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তিন ব্যক্তির মধ্যে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে।

এছাড়াও আদাবর, বসিলা, জিগাতলা, সেন্ট্রাল রোড, গ্রিন রোড, শাহবাগ, ইস্কাটন, মহাখালী, বেইলি রোড, শাহজাহানপুর, মগবাজার, রামপুরা, বাড্ডা, নিকুঞ্জ, আশকোনা এলাকায় একজন করে কোভিড-১৯ রোগী রয়েছেন বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।

ঢাকার যেসব এলাকা লকডাউন
গত কয়েকদিনে এমন পরিস্থিতি বলেই দিচ্ছে করোনা ভাইরাস ঢাকার জন্য আরো কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, এভাবে রাজধানীতে করোনার ব্যাপকতা ছড়িয়ে পড়লে শহর পুরোপুরি লকডাউন হতে সময় লাগবে না। এরই মধ্যে ঢাকার অন্তত ৫২টি এলাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লকডাউনের আওতায় নিয়ে এসেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, যেসব এলাকায় রোগী পাওয়া যাচ্ছে সেসব এলাকা লকডাউন করা হচ্ছে। এর আগে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকেও যেখানে রোগী শনাক্ত সেখানেই লকডাউনের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ডিএমপির কর্মকর্তারা জানান, রাজধানীতে সংক্রমণের শুরুর দিকে ঢাকায় মিরপুরের টোলারবাগে রোগী পাওয়ার পর ওই এলাকা আগেই লকডাউন করা হয়। এরপর পুরান ঢাকায় খাজে দেওয়ান লেনের ২০০ ভবন, মোহাম্মদপুর এবং আদাবরের ৬টি এলাকা, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের সামনে, তাজমহল রোড মিনার মসজিদ এলাকা, রাজিয়া সুলতানা রোড, বাবর রোডের একাংশ, বছিলা ও আদাবর এলাকার কয়েকটি বাড়ি ও রাস্তা। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এক নারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সেখানকার একটি রাস্তা লকডাউন করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর