× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অনায়সে নৌপথে ঢুকছে মানুষ আতঙ্ক এখন গ্রামে

অনলাইন

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) এপ্রিল ৯, ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৯:২১ পূর্বাহ্ন

দিনে দিনে বাড়ছে করোনার আতঙ্ক। শহর থেকে মফস্বল, মফস্বল থেকে গ্রাম এমনকি চরাঞ্চল পর্যন্ত এক অদৃশ্য ভাইরাস করোনার আতঙ্ক। সন্ধার পরপরই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে সর্ব এলাকার বাজারসহ রাস্তাঘাট। যদিও কিছু সংখ্যক এখনো দিয়ে যচ্ছে আড্ডা। প্রতিদিনেই ভারি হচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বিদেশ থেকে দেশ, এরপর বড় বড় শহর এখন বড় আতঙ্ক গ্রাম গুলোতে। ইতি মধ্যে চট্রগ্রাম, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন করোনায় আক্রান্ত এলাকায় থেকে ফিরতে শুরু করেছে মানুষজন গ্রাম গুলোতে। শুধু তাই নয় ভয়াবহ নারায়ণগঞ্জ লগডাউন এলাকা থেকেও নৌকাসহ বিভিন্ন ভাবে চিলমারীসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষজন শুরু করেছে ফিরতে।
আক্রান্ত এলাকা থেকে ফিরতে শুরু করায় গ্রাম গুলোতে বাড়ছে ভয়ের তীব্রতা। সেই তীব্রতা দিন দিন বেড়েই চলছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে চিলমারী উপজেলা বেশ কয়েকটি নৌকা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ বিভিন্ন ফ্যাক্টরীর এলাকায় অবস্থান করছে সেখান থেকে মানুষজন নিয়ে আসার জন্য। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নৌকার মালিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এলাকার অনেক মানুষ ওখানে কাজের জন্য গিয়েছিল তারা আটকে পড়েছে। তাদের সাথে কথা হয়েছিল। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিষেধ করায় তা বন্ধ করা হয়েছে। তবে অনেকে জানান, নৌকার মাঝিদের সাথে বিভিন্ন ভাবে চুক্তি করা হচ্ছে কৌশলে তাদের নিয়ে আসার জন্য এবং বিভিন্ন চরে চরে নামিয়ে দেয়ারও কথা হচ্ছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী। নয়ারহাট এলাকার মাহফুজার জানান, তার এলাকার কয়েকজন নারায়ণগঞ্জ থেকে নৌ-পথে আসবে। তারা পথেই রয়েছে। তবে তারা সজাগ আছে আসলে প্রশাসনকে অবহিত করবেন। এছাড়াও আরো খবর পাওয়া গেছে পাশ্ববর্তী উপজেলার ডাঙ্গারচরে কিছু লোকজন এসেছে তারা নিয়মিত পাত্রখাতা এলাকায় ও থানাহাট ও জোড়গাছ বাজারে আসা যাওয়া করছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, চিলমারীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার কয়েক হাজার শ্রমিক দীর্ঘদিন থেকে মুন্সিগঞ্জ এবং নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় ইটখোলায় ও বিভিন্ন ফ্যাক্টরীতে কাজে নিযুক্ত রয়েছে। করোনার আক্রান্ত বেড়ে যাওয়ায় ইতি মধ্যে নারায়ণগঞ্জ লকডাউন করেছে প্রশাসন। করোনার প্রভাবে সবকিছু বন্ধ হয়ে গেলে এসব শ্রমিক সেখানেই আটকা পড়ে। কাজ না থাকায় আটকা পড়া এসব শ্রমিক নারায়ণগঞ্জসহ আশাপাশ এলাকায় মানবেতর পরিস্থিতিতে পড়ে। সেখান থেকেই তারা পরিবারের লোকদের সাথে যোগাযোগ করলে আটকে পড়া শ্রমিকদের পরিবার জন প্রতি দেড়/দুই হাজার টাকায় এসব নৌকা ভাড়া করেছে। চিলমারী নদীবন্দরের নৌকা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল লিপু জানান, এখান থেকে নারায়ণগঞ্জ নৌ পথে যেতে সময় লাগে প্রায় ১০/১২ ঘন্টা। নারায়গঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ থেকে আসতে হলে মুন্সিগঞ্জ, ঘোড়াদৌড়, শ্রীনগর থানার ময়াঘাট, দোহার থানা, আরিচা ঘাট, মানিকগঞ্জ বেড়া থানা, শাহজাদপুর, বেতিল থানা, সিরাজগঞ্জ সদর থানা, কাজিপুর থানা, সারিয়াকান্দি, ফুলছড়ি, বাহাদুরা ঘাট, গাইবান্ধা সদর ঘাট হয়ে চিলমারী নদী বন্দর চিলমারী, এরপর উলপুর, কুড়িগ্রাম সদর, নাগেশ্বরী। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন মাঝি বলেন, নদীপথে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ এবং মানিকগঞ্জ থেকে ইতিমধ্যে অনেকেই এলাকায় ফিরেছেন। চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন বিষয়টি আমরা শুনেছি তাই সড়ক এবং নৌ পথ উভয় দিকে আমরা আইনশৃংখলা জোরদার করেছি। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্ বলেন, খবর পেয়ে আমি নৌকার মালিকের বাড়িতে গিয়েছিলাম তাদের সর্তক করে দেয়া হয়েছে। করোনার সংক্রামণ ঠেকাতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ কাজ করছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নৌ পথে যাতায়াতের জন্য নৌকা চলাচলও বন্ধ রয়েছে। এরপরেও বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর