‘লকডাউন’ বই লিখে গালি খেয়েছিলেন পিটার মে। আজগুবি বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন প্রকাশক। বলেছিলেন, কল্পনা নিয়ে বই হয়। কিন্তু লকডাউন এতোটাই অবাস্তব মানুষ বই পড়ে প্রকাশকের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করবে।প্রকাশনা সম্পাদক বইটি বাতিল করে দেন। বলেন, অবাস্তব চিন্তা নিয়ে বিভোর থাকার সময় নেই আমাদের। ১৫ বছর আগের কথা। ২০০৫ সালে বইটি লিখেছিলেন বিলাতি লেখক পিটার মে। বিশ্বে কী ঘটতে যাচ্ছে বা ঘটবে তার একটি ছবিও একেছিলেন বইটিতে।
মহামারি হবে বিশ্বময়, এটাই ছিল বইটির সারকথা।এই মহামারির নাম অবশ্য তিনি দেননি। করোনা ভাইরাসে যখন বিশ্ব কাঁপছে তখনই খোঁজ পড়লো পিটার মে’র।বলা হলো, বইটি কোথায়। আমরা এখন ছাপার কথা চিন্তা করতে পারি। একজন সম্পাদক সারা রাত ধরে বইটি পড়লেন। মত দিলেন, আর দেরি না করে এখনই প্রেসে দেয়া যেতে পারে। তাই হলো, ৩০শে এপ্রিল বইটি বাজারে আসবে। মিলিয়ন কপি ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। ৬৮ বছর বয়স্ক পিটার মে বলছেন, এটা তার সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসূত ছিল না। বৃটেন ও আমেরিকার মহামারি বিশেষজ্ঞদের নানা গবেষণাপত্র দেখেই বইটি লিখেছিলেন। তার কথা, বইটির নাম ছিল লকডাউন। তবে তামাম দুনিয়া এভাবে লকডাউনে চলে যাবে এটা ভাবিনি।