করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয় সরকার। সেই নিষেধকে উপেক্ষা করে লকডাউন পেরিয়ে ঢাকার রাতের আধারে নারায়ণগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে শিশুসহ ১০৯ জন নারী পুরুষ একটি বালুবাহী কার্গোতে করে আমতলী এসে পৌছেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক নারী পুরুষ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ইটভাটা ও বালুর বলগেটে শ্রমিকের কাজ করতো। নারায়ণগঞ্জে হঠাৎ করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে ভয়ে ও আতংকে তারা একটি বালুবাহী কার্গো ভাড়া করে বুধবার ভোররাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে ওই দিন রাত নয়টার সময় আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিমে সোনাখালী গ্রামের মরগার ব্রীজের নিকট এসে পৌছে।
স্থানীয়রা কার্গোবোঝাই যাত্রী দেখতে পেয়ে তাদের তীরে উঠতে বাঁধা দিয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ১৯টি মাহেন্দ্রা গাড়ী ভাড়া করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এখানে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা ৯০ জনকে (১৪ দিন পর্যন্ত) কোয়ারেন্টিনে ও ১৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহআলম জানান, আটককৃতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ১০৯ জনের মধ্যে ৯০ জনকে উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের আমড়াগাছিয়া হোসাইনপুর খানকায়ে সালেহিয়া কমপ্লেক্স সংলগ্ন সাইক্লোন শেল্টারে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। বাকী ১৯ জনের বাড়ী পার্শ্ববর্তী পটুয়াখালী জেলায় হওয়ায় তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য পুশ ব্যাক করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে আসাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ৯০ জনকে কোয়ারেন্টিনে ও ১৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কোয়ারেন্টিনে থাকাদের পর্যায়ক্রমে নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে যে কার্গোবোঝাই শিশুসহ ১০৯ নারী পুরুষ শ্রমিক আমতলীতে এসেছেন। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ৯০ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা ও ১৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।