× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনার প্রভাব- /কেমন হবে সংসদের আসন্ন অধিবেশন?

অনলাইন

কাজী সোহাগ
(৪ বছর আগে) এপ্রিল ৯, ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৩:২২ পূর্বাহ্ন
ফাইল ফটো

ব্যতিক্রমী উপায়ে মাত্র এক ঘণ্টার জন্য বসতে যাচ্ছে সংসদ অধিবেশন। আগামী ১৮ই এপ্রিল শনিবার বিকাল ৫টায় ওই অধিবেশন বসবে। শেষ হবে মাগরিবের নামাজের বিরতির আগেই। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে অধিবেশন আহ্বান করেছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। সংসদ সচিবালয়ে জানিয়েছে, করোনার ভয়াল থাবার কারণে এবারের অধিবেশন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাসে একেবারে ব্যতিক্রম। প্রথমত-অধিবেশনের মেয়াদ হবে মাত্র এক ঘণ্টা। দ্বিতীয়ত-অধিবেশনের কোরাম পুরনের জন্য উপস্থিত থাকবেন ৬০ জন সংসদ সদস্য। সব এমপি অধিবেশনে উপস্থিত হবেন না।
এরই মধ্যে যেসকল এমপি উপস্থিত থাকবেন তাদের তালিকা করে জানানো হয়েছে। তৃতীয়ত-সরাসরি অধিবেশনের সংবাদ কাভার করার সুযোগ থাকছে না গণমাধ্যমকর্মীদের। সংসদ টিভিতে লাইভ প্রচার করা অধিবেশন কাভার করতে পারবে গণমাধ্যম। চতুর্থত-সাধারণত ছুটির দিনে অতীতে সংসদ অধিবেশন আহ্বান করা হয়নি। কিন্তু এবারের অধিবেশন বসতে যাচ্ছে সরকার ঘোষিত ছুটির দিন শনিবার। পঞ্চমত-অধিবেশন আহ্বান করলে সংসদ সচিবালয়ের প্রায় ১২শ কর্মকর্তা-কর্মচারির উপস্থিত বাধ্যতামুলক করা হয়। এবার ব্যতিক্রম করা হচ্ছে। অধিবেশন চালানোর জন্য হাতেগোনা যে কয়জন কর্মকর্তা ও কর্মচারি প্রয়োজন কেবল তাদেরকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া এমপিদের বসার সিট প্লানও করা হচ্ছে ব্যতিক্রমীভাবে। একজন এমপি থেকে আরেকজন এমপির মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখতে দুই বা তিন সিট পরপর একজন করে বসবেন। এদিকে নিয়ম অনুযায়ি, অধিবেশন শুরুর আগে স্পিকারের সভাপতিত্বে কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অধিবেশনের মেয়াদ ও কোন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে তা নির্ধারন করা হয়। এবারের কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। সবকিছু আগে থেকে ঠিক করে স্বল্প সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে ওই কমিটির বৈঠক। এতে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনাসহ বিরোধী দলের সদস্যরা। ব্যতিক্রমী অধিবেশন প্রসঙ্গে ডেপুটি স্পিকার এডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া মানবজমিনকে বলেন, মূলত সংসদ অধিবেশনের ডিজাইন নির্ধারন করা হয় কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে সবার নিরাপত্তার স্বার্থে অধিবেশন একদিনের বেশি হওয়া উচিত হবে না। সংসদ সচিবালয় জানিয়েছে, সাংবিধানিক বাধ্য-বাধকতা অনুযায়ী, একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে পরবর্তী অধিবেশন বসার বাধ্য-বাধকতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আগামী ১৮ই এপ্রিলের মধ্যে সংসদের পরবর্তী অধিবেশন বসতে হবে। কারণ চলতি সংসদের সর্বশেষ ষষ্ঠ অধিবেশন শেষ হয়েছিল ১৮ই ফেব্রুয়ারি। সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, চলতি সংসদের সদস্য শামসুর রহমার শরীফ মারা যাওয়ায় অধিবেশনের শুরুতে শোক প্রস্তাবের উপর আলোচনা হবে। পরে অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা শেষে অধিবেশনের সমাপ্তি টানা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর