× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভিডিও মিটিংয়ে সময় পার

অনলাইন

এম এম মাসুদ
(৪ বছর আগে) এপ্রিল ৯, ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৪:২৪ পূর্বাহ্ন

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। বাংলাদেশের মিডিয়া জগতে একটি পরিচিত মুখ। সহজবোধ্য ও সাবলীলভাবে অর্থনীতির জটিল বিষয়কে তিনি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে থাকেন। দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে তার বিভিন্ন গবেষণা কাজে। কিন্তু হঠাৎ করে গত ২৬শে মাার্চ থেকে সরকারের অঘোষিত লকডাউন ঘোষণা করায় তার দৈনিক কাজের রুটিনে ছন্দপতন ঘটেছে। থাকতে হচ্ছে হোম কোয়ারেন্টিনে।

এখন বাসায় কিভাবে সময় কাটাচ্ছেন? সোজাসাপ্টা উত্তরে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, করোনাকালীন বাসায় তো আমার সময়ের অভাব হয়ে গেছে। কারণ হলো- সারাক্ষণ প্রায় দেশে এবং বিদেশে স্কাইপের মাধ্যমে বিভিন্ন মিটিং করতে হচ্ছে। সকালে দেশে, দুপুরে ইউরোপে আর সন্ধায় আমেরিকায়।
এভাবেই ভিডিও কলে সময় পার হচ্ছে।

দেবপ্রিয়  বলেন, সারাক্ষণ বিভিন্ন আলোচনায় থাকতে হয়। দেশেরগুলো সকাল বেলায় করি। দুপুর আর সন্ধার দিকে বিদেশেরগুলো। বিশেষ করে আমেরিকারগুলো সন্ধার পরে।

হোম কোয়ারেন্টিনে বিভিন্নভাবে দিন কাটানোর কথাও জানান তিনি। বলেন, অনেক দিন ধরে যে সমস্ত কাজ জমে ছিল। বিশেষ করে লেখার কাজ আগে করতে পারি নাই। সে কাজগুলো করছি। কারণ স্বাভাবিক সময়ে বিভিন্ন জায়গায় দৌড়া-দৌড়ির ওপর থাকতে হয়। লেখা-লেখির সময় পাওয়া যায় না। সেই কাজগুলো এখন খুব সহজেই করতে পারছি। আর একটু সুযোগ হলে বই পড়ি, আর সিনেমা দেখি। এছাড়া অন্যন্যাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছি। এভাবেই চলছে হোম কোয়ারেন্টিন।

সকাল বেলার রুটিন বলতে গিয়ে তিনি জানান, সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই নাস্তা করি। এর পর চায়ে চুমক দিতে দিতেই সকাল ৯টায়  স্কাইপেতে মিটিং শুরু হয়ে যায়। আমার যে গবেষণা টিম আছে, তাদের সঙ্গে বসে ভিডিও কলে মিটিং করি। সারা দিন কি কাজ হলো, আগের দিন পর্যন্ত কোন কাজ হলো সেগুলোর হিসাব দেয়া-নেয়া করি। অর্থাৎ অফিসে যা করতাম তা নিয়মিতভাবেই হচ্ছে। বরং আরো বেশি হচ্ছে। এছাড়া সময়ও একটু বেশি লাগছে। কারণ সিপিডি অফিসে একসঙ্গে এক টেবিলে বসে মিটিং করলে যত তাড়াতাড়ি হয়, ভিডিও কনফারেন্স মিটিংয়ে সময় একটু বেশি লাগছে। এভাবেই চলছে।

তিনি আরো বলেন, মোটামুটি দুপুরের আগে দেশের কাজ শেষ হয়। এর পর দুপুর ২টায় ইউরোপের উন্নয়ন সহযোগিদের সঙ্গে ভিডিও কলে মিটিং করি। কারণ ইউরোপে তখন অফিস শুরু হয়। এরপর সন্ধায় আমেরিকার বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে মিটিং করি। এছাড়া বই পড়া আর সিনেমা দেখে সময় পার করছি। পুরনা বাংলা সিনেমা। ব্ল্যাক  অ্যান্ড হোয়াইট। খারাপ লাগে না, ভালোই লাগে।

দেশের বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ ১৯৫৬ সালের ২৯শে এপ্রিল টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী থানার এলেঙ্গার এক প্রাচীন জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে ড. দেবপ্রিয় বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) একজন বিশেষ ফেলো হিসেবে কর্মরত আছেন। ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার আগে ১৪ বছর তিনি বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো হিসেবে কাজ করেন।

এছাড়া বর্তমানে তিনি ‘এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ’-এর আহ্বায়ক হিসেবে ২০৩০ এজেন্ডার কার্যকর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশব্যাপী কাজ করছেন। সামষ্টিক অর্থনীতি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থায়ন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বা এসডিজি, স্বল্পোন্নত দেশসমূহের উন্নয়ন বিষয়ক বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা রয়েছে তার।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর